উৎসবের মরসুমে শরীরের মেদকে জব্দ করতে না পারলে সাজগোজ থেকে স্বাস্থ্য সমস্যা সবেতেই। লকডাউন চলাকালীন এমনিতেও হাঁটাহাঁটি বা শরীরচর্চায় মন দেওয়া হয়নি। খুব বেশি হলে একটু আধটু ডায়েট হয়তো মেনে চলা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু মেদ ঝরানোর জন্য শরীর প্রয়োজনীয় ফ্যাক্টর খুঁজে বের করতে পারেনি। এ বার সেই সময় এসেছে।
দিনে মিনিট ২০ সময় দিলেই পেটের মেদ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। পুজোর আগে বেশ কিছুটা মেদ ঝরিয়ে ফেলার জন্য এখন থেকেই অভ্যাস করুন বিশেষ কিছু যোগব্যায়াম।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষক সুকোমল সেনের মত, ‘‘পেটের মেদ দূর করতে ও পেশিকে মজবুত ও টানটান করে তুলতে ক্রাঞ্চ ও প্লাঙ্কের কোনও জবাব নেই। এই দুই ব্যায়ামেই পেটের পেশিতে টান পড়ে। ফলে পেশির স্টিফনেস কমে ও মেদ গলতে সুবিধা হয়। আর এই ব্যায়াম দিনে কিছুক্ষণ অভ্যাস করলে খাবার হজম হওয়া, বিপাক ক্রিয়া বা মেটাবলিক রেট বেড়ে যাওয়া—সবই হবে।’’
কিন্তু কী উপায়ে এমন ব্যায়াম করবেন?
সুকোমলবাবুর মত, বাড়ি ফিরে বা সকালে ঘুম থেকে উঠে কয়েক মিনিট সময় এর জন্য রাখলেই যথেষ্ট। ক্রাঞ্চ ও প্লাঙ্কের পদ্ধতিতে ভুল থাকলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ঠিক পদ্ধতিতে ব্যায়াম করাটা প্রথম শর্ত।
কোন উপায়ে ক্রাঞ্চ বা প্লাঙ্ক করতে হবে?
ক্রাঞ্চ: মাটিতে পিঠ রেখে শুয়ে হাঁটু জোড়া ভাঁজ করুন যাতে আপনার পায়ের পাতা মাটিতে ঠেকে। হাত জোড়া মাথার পিছনে রাখুন। পেটের উপরে চাপ দিয়ে মাথা হাঁটুর দিকে নিয়ে যান। এই অবস্থায় থেকে ধীরে ধীরে ৫ গুনু্ন। তার পর আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। ১৫ বারে এক একটি সেট হয়। ৩টি সেট অভ্যাস করুন।
প্লাঙ্ক: প্রথম দিকে কনুই পর্যন্ত মাটির সঙ্গে ঠেকিয়ে প্লাঙ্ক করুন। অভ্যাস হয়ে গেলে হাতের পাতা ও পায়ের পাতা মাটিতে রেখে বাকি শরীরটা হাওয়ায় তুলে দিন। প্লাঙ্কের সময় পেট ভিতরের দিকে টেনে রাখতে পারলে আরও বেশি উপকার পাবেন। পেট ও কোমরের কেন্দ্রস্থলের পেশিকে শক্তিশালী করে তুলতে প্লাঙ্কের জবাব নেই। প্রায় ২ মিনিট করা যেতে পারে এই প্লাঙ্ক।