নিজস্ব প্রতিবেদক,৩০ ডিসেম্বর: ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি নির্মাণ বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য স্বল্প সুদে গৃহ ঋণ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালে যে নীতিমালা করেছিল সুদের হারের দিক থেকে এখন তা আরো শিথিল করেছে। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি (বুধবার) থেকে তা কার্যকর হবে।
সোমবার নীতিমালা সংশোধন করে গৃহ ঋণের সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। এই হার আগে ছিল সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। সুদের ওপর কোনো সুদ আরোপ করা হবে না।
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক প্রায় এক বছর ধরে স্বল্প সুদে এ ধরনের ঋণ দিয়ে আসছে।
মূল নীতিমালায় বলা হয়েছে, ১০ শতাংশের মধ্যে ব্যাংক হার অর্থাৎ ৫ শতাংশ সুদ দেবেন ঋণ গ্রহণকারী, বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে। নীতিমালার ৭.১ (ঘ) (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সুদের হার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, নতুন সুদের হার শুধু নতুন ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী চাকরির গ্রেড মেনে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। শুরুতে বেসামরিক ও সামরিক কর্মচারীদের জন্য এ সুবিধা চালু করা হলেও পরে বিচারক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরাও এ তালিকায় যুক্ত হন।