১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজর প্রার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি। এ বিপুল সংখ্যক চাকরিপ্রার্থীর ফেল করার পেছনে দুটি কারণ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। তবে আগের চেয়ে পরস্থিতির উন্নতি হয়েছেন বলে দাবি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)।
গত ১৫ মে রাতে নিবন্ধনের ফল প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ১৮ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। তবে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। সে হিসাবে ৮ লাখ ৬০ হাজার ৮৫২ জন ফেল করেছেন।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, উত্তীর্ণদের মধ্যে স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন, স্কুল পর্যায়ে ২ লাখ ২১ হাজার ৬৫২ এবং কলেজ পর্যায়ে ২ লাখ ২৮ হাজার ৮১৩ জন রয়েছেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের পাসের হার ৩৫.৮০ শতাংশ।
বিপুল সংখ্যক চাকরপ্রার্থীর ফেল করার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেকে নিবন্ধনের আবেদন করে রাখলেও তাদের সিলেবাস সম্পর্কে তেমন ধারণা থাকে না। তারা প্রস্তুতিও তেমন নেন না। সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা থাকলে ও নিয়মিত পড়াশোনা করলে পাস করতে পারবেন। কিন্তু এ দুটি কাজ না করায় ফেল করছেন অনেকে। এমন ঘটনার প্রতিটি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই ঘটছে।
আরো পড়ুন: ৫ম গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ নিয়ে যা জানাল এনটিআরসিএ
এদিকে কোরবানীর ঈদের পর ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা হবে বলে জানা গেছে। দ্রুত লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রার্থীদের জানিয়ে দেবে এনটিআরসিএ। এ বিষয়ে সম্প্রতি এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান বলেছেন, ১৮তম নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা জুন মাসে আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল। তবে প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় জুলাই মাসে আয়োজন করা হবে।
এনটিআরসিএর সচিব আরো বলেছেন, পাসের হারের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ১৭তম নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এবার পাসের হার ৩৫ দশমিক ৮০। তিনিও সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা আর নিয়মিত পড়াশোনা করলে পাসের হার বাড়তো বলে জানান।
গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের স্কুল/সমপর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগের ২৪ জেলা শহরে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। একইদিন বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।