ডেস্ক,২৪ মে ২০২৩:
মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে ইনক্রিমেন্ট বা বেতন বৃদ্ধির হার বাড়ানো হতে পারে সরকারি চাকরিজীবীদের। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট পাঁচ শতাংশ থেকে ৮ থেকে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে এ ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
জানা গেছে, এরই মধ্যে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানোর বিষয়ে কাজ শুরু করেছে অর্থ বিভাগ। বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট মূল বেতনের ৫ শতাংশ হলেও পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গড় মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের কম। এ চাপ বিবেচনা নিয়ে ইনক্রিমেন্টের হার বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার।
আরো পড়ুন:এক ক্লিকে দেখুন চবির বি ইউনিটের ফল
বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন সমন্বয় করা হবে বলে ঘোষণা থাকতে পারে। তবে কোন প্রক্রিয়ায় ও কী হারে বেতন বাড়বে, তা নির্ধারণ হবে জুনে বাজেট ঘোষণার পর। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে গেজেট জারি হতে পারে। যখনই গেজেট জারি হোক, তা জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতির হার বাড়ায় সরকারি চাকরিজীবীরা নতুন পে স্কেলের দাবি তোলেন। এর প্রেক্ষাপটে মহার্ঘ ভাতার বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে মহার্ঘ ভাতা না দিয়ে বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৬ হাজার। তাঁদের বেতন-ভাতা বাবদ বাজেটে প্রাক্কলিত বরাদ্দ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। তবে ২ লাখ ৭০ হাজার পদ শূন্য রয়েছে।
ফলে পুরো অর্থ আগামী অর্থবছর ব্যয় হবে না। তাই বেতন বাড়লে এ বরাদ্দ থেকেই দেওয়া সম্ভব হতে পারে। বাড়তি খরচ হলেও তার পরিমাণ সামান্য। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে বেতন স্কেল ঘোষণার পর সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন শতভাগ পর্যন্ত বেড়েছিল। এরপর থেকে ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পাচ্ছেন।
সূত্র জানায়, বাজেট ঘোষণার পর অর্থমন্ত্রী বা অর্থ সচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর জন্য পয়েন্ট টু পয়েন্ট নাকি গড় মূল্যস্ফীতি বিবেচনা করা হবে– সে বিষয়ে নির্দেশনা চাইবেন তারা। ২০তম গ্রেড থেকে প্রথম গ্রেড পর্যন্ত একই হারে বেতন বাড়বে কিনা, সে বিষয়েও নির্দেশনা চাওয়া হবে। এর ভিত্তিতেই বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।