ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের সদস্যভুক্ত ১০টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালভিত্তিক ‘সিনিয়র অফিসার (জেনারেল)’–এর ৯২২টি শূন্য পদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফলে আপত্তি জানিয়েছে অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর একাংশ। এই ফল পুনঃনিরীক্ষণের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে আবেদন করেছেন তারা।
গত ১০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয় ২৮ নভেম্বর। যেখানে ৯২২টি শূন্য পদে আগামী (৮ ডিসেম্বর) শুক্রবার লিখিত পরীক্ষার জন্য কৃতকার্য হয়েছেন ১০ হাজার ৫৭৪ পরীক্ষর্থী। এই তালিকায় না থাকা একাধিক প্রার্থী ফলাফল নির্ণয়ে সন্দেহ পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর গত ৩০ নভেম্বর আবেদন করেছেন।
আবেদনে তারা জানান, ফলাফল স্বল্প সময়ে প্রকাশিত হওয়ায় আমরা আনন্দিত। কিন্তু একই সাথে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমরা অনেক পরীক্ষার্থী আশাব্যাঞ্জক পরীক্ষা দেওয়ার পরও কৃতকার্য হতে পারিনি। কতিপয় কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে আমরা জানতে পেরেছি যে, তাদের থেকে ভালো পরীক্ষা দিয়েও আমরা অকৃতকার্য হয়েছি। আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সন্দেহ পোষণ করছি যে, পরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের কোনও কারিগরী ত্রুটির কারণে আমরা সাধারণ পরীক্ষার্থীরা স্বনামধন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে রাষ্ট্রায়ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মকর্তা হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
ফলাফলের তালিকায় তাদের স্থান না পাওয়া কারিগরী ত্রুটির কারণ হতে পারে উল্লেখ করে গভর্নর বরাবর আবেদনে তারা আরও জানান, আমরা স্বনামধন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে অনুষ্ঠিত যে কোন পরীক্ষা এবং প্রকাশিত ফলাফলকে সম্মান জানাই কিন্তু একই সাথে পরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের সামান্য কারিগরী ত্রুটির কারণে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। তাই জনাবের নিকট আকুল আবেদন, সংযুক্তকৃত রোল নম্বর সমূহের ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ করিলে আমরা আপনার নিকট আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
আবেদনে সংশ্লিষ্ট এমসিকিউ ওএমআর শীট, পরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কোনও প্রতিষ্ঠান অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত কোনও কর্মকর্তা কর্তৃক ম্যানুয়ালি নিরীক্ষণের অনুরোধ জানান তারা।
এ বিষয়ে একজন পরীক্ষার্থী বলেন, তারা প্রায় ৩০ জন পরীক্ষার্থী ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন। তবে যেহেতু পরীক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অংশ নিয়েছেন তাই ভুক্তভোগীর সংখ্যা আরও অনেক। এ পর্যন্ত তারা প্রায় ৩০০ ভুক্তভোগী একটি অনলাইন গ্রুপের মাধ্যমে যুক্ত রয়েছেন। তারা মনে করেন, উত্তীর্ণদের অনেকের তুলনায় তারা ভালো পরীক্ষা দিয়েও কৃতকার্যের তালিকায় স্থান পাননি। ৩০০ জন একত্র হলেও এর বাইরে আরও অনেক এমন প্রার্থী রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমন আবেদনের প্রেক্ষিতে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কিনা তা জানতে ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের (বিএসসিএস) পরিচালক মো. সাঈদুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।