নিজস্ব প্রতিবেদক,১০ নভেম্বর ২০২২: গত ১০ নভেম্বর ২০২২ খ্রিঃ প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড রিভিউ মামলায় সরকারের রিভিউ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে আগামি বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
সুত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের (প্রশিক্ষিত ও অপ্রশিক্ষিত) দশম গ্রেডে উন্নীত করতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি) বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) খারিজ করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগ।
আরো পড়ুনঃ প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড রিভিউ আবেদনের পরবর্তী তারিখ জানালেন!
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সালাহউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
এ রায়ের ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ,নজরুল ইসলাম,স্বরুপ দাসসহ ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৫ মার্চ আদালত রুল জারি করেন।
আরো পড়ুনঃ ১০ম গ্রেড রিভিউ আবেদনের শুনানি: আপিল বিভাগ যা বললেন
পরের বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন।
তখন সালাহ উদ্দিন দোলন জানান, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। ফলে সরকারি প্রধান শিক্ষকদের মর্যাদা দিলেও তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে ৪৫ জন শিক্ষকের রিট আবেদনের পর আদালত রুল জারি করেন। ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রুল নিষ্পত্তির করে রায় দেন। রায়ে আবেদনকারী ৪৫ শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত এবং দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দেন।
এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। যেটি বৃহস্পতিবার খারিজ হয়ে যায়। একইভাবে ১০ম গ্রেড রিভিউ মামলায় সরকারের রিভিউ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বিশেষ কারণে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।