চূড়ান্ত অনুমোদন পেল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা আইন-২০২৩ এর খসড়া। আজ সোমবার (১৯ জুন) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
তিনি জানান, খসড়া অনুযায়ী হোমিওপ্যাথি সংক্রান্ত আলাদা কাউন্সিল গঠিত হবে। এই কাউন্সিল সার্বিক সিদ্ধান্ত নেবে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নিবন্ধকের কার্যালয় থাকবে। তবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নামের আগে ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে কিনা এ ব্যাপারে কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকরা নামের আগে ‘ডাক্তার’ লেখার দাবিসহ বিভিন্ন্ দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। তারা প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। তারা বলেন, হোমিও চিকিৎসকরা সংকটপূর্ণ অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছেন। হোমিও চিকিৎসকরা তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার লেখার কারণে গ্রেফতার, মামলাসহ নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে সভাপত্বি করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ডা. সাখাওয়াত ইসলাম ভূঞা।
আরও উপস্থতি ছিলেন-বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. আশীষ শংকর নিয়োগী, রেজিস্ট্রার ডা. জাহাঙ্গীর আলম, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামারুজ্জামান, হোমিও বোর্ড সদস্য আবদুর রাজ্জাক তালুকদার ও কায়েম উদ্দিন, ডা. অসীম কৃষ্ণ চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৮১০ থেকে ১৮৩৯ সালের মধ্যে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সারা ভারতে গ্রহণযোগ্যতা পায়। দেশে প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৯০ জন হোমিওপ্যাথির ডিগ্রিধারী চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। সরকারি হাসপাতালে আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকেরা মূলত বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেন। বিকল্প চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো হাসপাতালে শয্যা নেই। তবে সারা দেশে শহরে ও বাজারে আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার চেম্বার চোখে পড়ে। এমন চেম্বার ৩০ হাজারের বেশি হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।