আগামী ৪ নভেম্বর থেকে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা আরম্ভ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ৬০ ঘন্টার হরতাল আহ্বান করেছে।
এই হরতাল পরীক্ষার ফলাফলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। শনিবার বিবিসি বাংলার ‘প্রবাহ’ অনুষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
হরতালের দিন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা, না হলে সেটা কোনদিন হবে সে বিষয়ে এখনো শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে কিছুই বলা হয়নি।
এবছর মোট ২১ লাখ পরীক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আগামী ৪ নভেম্বর স্কুল শিক্ষার্থীদের বাংলা প্রথম পত্র এবং ৬ নভেম্বর বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদেরও ৪ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত আরবী প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,এখন তারা কোন বিষয়ের জন্য প্রস্তুতি নিবে তা নিয়ে তারা বিড়ম্বনায় পড়েছে। সারাক্ষণ তাদের মানসিক হতাশার ভিতর দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। এজন্য তাদের চূড়ান্ত ফলাফল খারাপ হতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
বর্তমান সময়ের শিক্ষানীতি অনুযায়ী এ পরীক্ষা প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গঠনের জন্য গরুত্বপূর্ণ। এখন হরতালের প্রভাবে যদি তাদের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়ে যায় তবে তার প্রভাব তাকে সারাজীবন বহন করে নিয়ে বেড়াতে হবে।
যদিও সরকারদলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে হরতালের কারণে শিক্ষার্থীদের ফলাফল খারাপ হলে তার দায়ভার বিরোধীদলকে নিতে হবে। কিন্তু একবার যদি ফলাফল খারাপ হয়ে যায় তবে তা কি কেউ পুষিয়ে দিতে পারবে?
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময় হরতালের কারণে ৩৭ টি বিষয়ের পরীক্ষা পেছাতে হয়েছিল। অন্যদিকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময় একই কারণে মোট ৩২ টি বিষয়ে পরীক্ষা পেছাতে হয়েছিল।
চলতি বছরের এইসএসসি পরীক্ষার ফলাফল আগের বছরের তুলনায় অনেক খারাপ হয়েছে। তাদের দায়ভার কি কেউ নিয়েছে?
এখন যারা সবেমাত্র ৮ম শ্রেণীতে পড়ে, রাজনীতি বলতে কি বোঝায় তারা কেইউ ভাল করে বলতে পারেনা। তবে তারা কেন এই রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার হবে। তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতি কি তাদের ভবিষ্যৎ জীবন ধ্বংস করে দিবে?
আগামী দিনে যারা সমগ্র বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবে তাদের জীবন যদি এখানেই ধ্বংস হয়ে যায় তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি হবে? এ বিষয়টি কেউ গুরুত্বসহকারে না দেখলেও সবার অগোচরে যে অনেকের ফুলের মত জীবন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শেষ হতে বসেছে।
দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির কারণে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে দায়ী করলেও আসলে যারা সাধারণ মানুষ রয়েছেন তারা কোন দলকে দায়ী করতে চাননা। তাদের একটাই দাবি দ্রুত দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরে আসুক।
লেখক: সম্পাদক