ভারতের সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী দেকা তার ভাষায় বলেছেন, ‘স্মৃতি ইরানিকে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিতীয় স্ত্রী বলে থাকেন।’
অসমের গোয়াহাটির নলবাড়িতে এক জনসভায় রোববার এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেকার মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছে হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। দলটির সাধারণ সম্পাদক রাম মহাদেব বলেছেন, ইরানির প্রতি লজ্জাকর মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা।
দেকার মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিজেপি মানহানির মামলা করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে তিনি।
আর অসম রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেন, ‘হারের ভয়ে এখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে গিয়ে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটছে কংগ্রেস। এ ধরনের মন্তব্য কংগ্রেসের নিম্ন রুচির পরিচয়। একজন প্রবীণ বিধায়কের মুখে এমন কথা অসমের সংস্কৃতির পরিপন্থী।’
এদিকে বিজেপি কর্মীরা রাতেই রাজ্য কংগ্রেসের সদর দপ্তর, গুয়াহাটির রাজীব ভবন ঘেরাও করেন। বিভিন্ন জায়গায় নীলমণি ও কংগ্রেসের কুশপুতুল পোড়ানো শুরু হয়। বিপদ বুঝে নীলমণি সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছে কংগ্রেস।
দলীয় মুখপাত্র রিপুন বরা বলেন, ওই মন্তব্যগুলি তার ব্যক্তিগত মত। দল এই ধরনের মন্তব্য ও মনোভাবকে সমর্থন করে না। ওই মন্তব্যের দায় দল নেবে না।
বিপাকে পড়ে নীলমণি বলেন, ‘আমি যা বলেছি নিছকই মজা করে বলেছি। ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইছি। এর সঙ্গে দলের কোনো যোগাযোগ নেই।’
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদি যুবক বয়সে বিয়ে করলেও সেই স্ত্রীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন ধরেই কোনো সম্পর্ক নেই।
স্মৃতি ইরানিকেও নিয়েও রয়েছে বেশ বিতর্ক। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্ক শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত না হয়েও তিনি কিভাবে ভারতের মতো দেশের শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তা নিয়ে ঢের সমালোচনা হয়েছে।
গত সংসদ নির্বাচনে হেলে গেলেও এক সময়ের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রীকে মন্ত্রী বানিয়েছেন মোদি।