ডেস্ক,১৪ এপ্রিল ২০২৩:
স্কুল ফাঁকি দিয়ে ধরা পড়েছেন রাজশাহী বিভাগের ৩৮ জন শিক্ষক। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের হঠাৎ পরিদর্শনে ধরা পড়েছেন তারা। স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে তাদের শোকজ করা হয়েছে। এতে সন্তোষজনক জবাব পাওয়া না গেলে তাদের ‘মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও)’ স্থগিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ওই শিক্ষকদের শোকজ করেছে। শোকজ নোটিশ পাওয়া ৩৮ শিক্ষকের মধ্যে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ১৮ জন, দুর্গাপুরের দুজন, চারঘাটে দুজন, নওগাঁ সদরে দুজন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় দুজন, জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুজন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ১০ জন রয়েছেন। মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের দিন তারা ছুটি ছাড়াই নিজ নিজ স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন।
মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ের এক প্রতিবেদনে শিক্ষকদের স্কুল ফাঁকির বিষয়টি উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের মাধ্যমে পূর্বঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন গিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা রাজশাহী বিভাগের ৩৮ জন শিক্ষককে অনুপস্থিত পেয়েছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের পরিদর্শনের সময় তা ধরা পড়ে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাউশি অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে যায়।
এরপর বিনা ছুটিতে অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ৬ এপ্রিল তারা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ে চিঠি দেয়। মাউশির সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-২) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরি স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে অনুমোদনহীনভাবে প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট কারণ ৫ কর্মদিবসের মধ্যে মাউশিতে সশরীরে হাজির হয়ে জানাতে শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষক শোকজের জবাব দিয়েছেন। তাদের জবাব এখন পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. নাসির উদ্দিন বলেন, স্কুল পরিদর্শনের সময় বিশেষ অ্যাপসে ধরা পড়েছে কারা কবে ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন উইংয়ে পাঠানো হয়েছিল। অভিযুক্ত শিক্ষকদের মাউশিতে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। তাঁরা যাচ্ছেন। জবাব দিচ্ছেন। এরপর সিদ্ধান্ত নেবে মাউশি।
মাউশির মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকেরা সশরীরে অধিদপ্তরে গিয়ে জবাব দিচ্ছেন। বিনা ছুটিতে স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে শিক্ষকদের এমপিও স্থগিত হতে পারে।