ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কাদিরপুর গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীকে এক বছর ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষিতা স্থানীয় হাজী সফিরউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় মোশারফ হোসেনের ছেলে হুমায়ূন কবির (২২) ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
এক পর্যায়ে ধর্ষিতা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয়। ওই সময় ধর্ষিতা ৬ মাসের গর্ভবতী ছিলেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নান্দাইল মডেল থানায় ধর্ষক হুমায়ুন কবিরসহ গর্ভপাতে সহযোগী চারজনের নামে ছাত্রীর বাবা মামলা দায়ের করেছেন। ওই চারজন হলেন- মোশারফ হোসেন, ছাফিয়া খাতুন, আনোয়ারা ও আবদুল হামিদ।
স্থানীয়রা জানায়, বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর ছাত্রীর বাবা হুমায়ুনকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। কিন্তু একটি প্রভাবশালী মহল অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
গত ১৫ জুন ওই ছাত্রীকে নান্দাইল হাসপাতালে নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। পরে হুমায়ুন ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বুধবার জানান, ছাত্রীটিকে মেডিকেল টেস্ট করার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।