স্কুল ও কলেজে একই রকম গ্রেডিং সিস্টেম থাকলেও উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে তা আলাদা হয়ে যায়। তবে এই তিন পর্যায়ের গ্রেডিং একই রকম হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ধরনের গ্রেডিং পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার।’
বর্তমানে শিক্ষা বোর্ড এর নির্ধারিত মোট মান জিপিএ ৫, সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জিপিএ এর মোট মান জিপিএ ৪ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত স্নাতক (পাস) পরিক্ষার মোট মান জিপিএ ৫! এতে করে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত জিপিএ সমান হলেও পরীক্ষা ভেদে মূল্যমান সমান হয় না।
একজন শিক্ষার্থীর স্নাতক (সম্মান) পরিক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ ৪ এবং অন্য একজন পরিক্ষার্থীর স্নাতক (পাস) পরিক্ষায় প্রাপ্ত পিপিএ ৫। উভয়ের প্রাপ্ত জিপিএ সংখ্যাগত ভাবে সমান হলেও এদের মান কিন্তু সমান নয়। আবার কোন শিক্ষার্থীর পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি, অর্নাস ও মাস্টার্স সকল পরিক্ষায়ই প্রাপ্ত জিপিএ ৩.৫ করে হলেও সকল পরীক্ষার ফলাফলের মূল্যমান কিন্ত এক হয় না। কারণ, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষায় মোট ৫ এর মধ্যে সে পেয়েছে ৩.৫ অথচ অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় মোট ৪ এর মধ্যে সে পেয়েছে ৩.৫।
এসব অসমতার কারণে ভর্তির বা চাকরির বিজ্ঞাপনদাতাকেও পড়তে হয় বিপাকে। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে উল্লেখ করতে হয় আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা। আবার প্রত্যেক আবেদনকারীর প্রতিটি পরিক্ষার গ্রেড-শিট বিশ্লেষণ করে বের করতে হয় প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হার।