তাসকিন আহমেদের বাউন্সার ঠিকঠাক সামলাতে পারলেন না তামিম ইকবাল। তিনি চলে এলেন নেটের নন স্ট্রাইক প্রান্তে।
এরপর সেখানে তাকে কিছুক্ষণ বোঝালেন জাতীয় দলের সহকারী কোচ নিক পোথাস, তামিমও শুনলেন মনোযোগী স্রোতা হিসেবে।
পেসারদের নেটে খেলে উন্নতি হচ্ছে ব্যাটারদের, এমন কথা জানিয়েছিলেন এক ব্যাটার। কীভাবে? সেই প্রমাণই যেন মিললো শরিফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদের বলে মুশফিকুর রহিম ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং দেখে। দুই পেসারের ফাঁকে মাঝখানে বল থ্রো করেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও।
কোচের থ্রু দারুণভাবে সামলালেও হাসান-শরিফুলদের বলে বেশ অস্বস্তিতেই পড়তে হয়েছে মুশফিক-হৃদয়কে। এসবের ভেতর অবশ্য আজও ক্যামেরার আলো কেড়েছেন সৌম্য সরকার। অনেকদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটেও রানের দেখা পাননি খুব একটা।
কিন্তু হঠাৎ করে তিনি আলোচনায় ইমার্জিং এশিয়া কাপের দলে জায়গা পাওয়ায়। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের একাদশ থেকেও বাদ পড়েন। অবশ্য লিগের শেষ ম্যাচে এসে হাঁকান সেঞ্চুরি। কোচের পছন্দের জন্যই ইমার্জিং এশিয়া কাপে জায়গা পেয়েছেন সৌম্য, এমন গুঞ্জন আছে।
সেটি আরেকটু পোক্ত হয়েছে বুধ ও বৃহস্পতিবার তাকে অনুশীলনে দেখে। বেশ লম্বা সময় ধরেই সৌম্যর সঙ্গে কথা বলেছেন হাথুরু। দূর থেকে দেখেও বোঝা গেছে, সৌম্যকে নিয়ে বেশ সিরিয়াস কোচ; চেষ্টা করছেন ভুল শুধরে ফর্মে ফেরাতে। সৌম্যও মনোযোগী ছাত্রের মতো শুনেছেন সেসব পরামর্শ।
একাডেমি মাঠে নেটের ব্যস্ততা শেষে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার গিয়েছেন মূল মাঠে। সেখানে ফিল্ডিং কোচ শন ম্যাকডরমটের তত্ত্ববধানে চলেছে অনুশীলন। শামীম পাটোয়ারী, তাসকিন আহমেদরা বেশ সিরিয়াস ছিলেন। ক্যাচিং, থ্রোয়িং করেছেন সবই। গত কয়েক মাসে ফিল্ডিংয়ে হওয়া উন্নতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা ছিল স্পষ্ট।
এদিকে বৃহস্পতিবার অনুশীলনে অস্বস্তি তিন ওপেনারই চোট পাওয়ায়। অবশ্য তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও লিটন দাস কারো ব্যথাই গুরুতর নয় বলে জানানো হয়েছে দল থেকে। তামিমের পুরোনো পিঠের ব্যথা আবার ফিরেছে, যেটির জন্য খেলতে পারেননি মিরপুর টেস্টে। ব্যাটিংয়ের সময় নাঈমের হাঁটুতে ও লিটনের ডান হাতে বল লেগেছে।
আগামী পাঁচ জুলাই থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর খেলবে দুটি টি-টোয়েন্টিও। এই দুই সিরিজ সামনে রেখেই অনুশীলন করছেন সাদা বলের ক্রিকেটাররা।