উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
সোমবার সকাল ৯টায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রাজধানীর বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র পরির্দশন করবেন। অন্যদিকে, একই সময়ে পুরান ঢাকার বকশিবাজার আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, এবার সারা দেশে ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। যা আগের বছরের তুলনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ পরীক্ষার্থী বেড়েছে। বৃদ্ধি হার ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এবার ছেলেদের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা কম। ছেলে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ এবং মেয়ে ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ জন।
সোমবার আট সাধারণ বোর্ডের অধীনে বাংলা ১ম পত্র (আবশ্যিক), সহজ বাংলা ১ম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি ১ম পত্র, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে কোরআন মাজিদ ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে বাংলা ১ম পত্র (আবশ্যিক) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১৩ মে। ১৪ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হয়ে ২৩ মে শেষ হবে।
এবারও শুরুতে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে কেন্দ্রীয়ভাবে লটারির মাধ্যমে প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করে সব বোর্ডে অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একাধিক প্রশ্নের সেট পৌঁছে দেয়া হবে।
এবার সাধারণ আট বোর্ডে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন। তার মধ্যে ছেলে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৬১২ এবং মেয়ে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৫ জন। অন্যদিকে, মাদরাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১২৭ জন। যার মধ্যে মেয়ে ৪৪ হাজার ১৩৫, ছেলে ৫৫ হাজার ৯৯২ জন। এছাড়াও কারিগরি শিক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪।
তথ্যমতে, এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সারা দেশে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমে গেছে। এবার মোট ২ হাজার ৫৪১ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় ৪৪টি কমেছে। এছাড়া বিদেশি ৭টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষার্থী ২৯৯। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদাপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট বরাদ্দ থাকবে।