ডেস্ক,২৮ নভেম্বর ২০২২: নাটোরের সিংড়া উপজেলায় দুই হাত ও ডান পা না থাকা সেই রাসেল মৃধা বাঁ পায়ে লিখে পরীক্ষা দিয়ে এবার দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
রাসেল মৃধা সিংড়া উপজেলার শোলাকুড়া মহল্লার দিনমজুর আবদুর রহিম মৃধার ছেলে। শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে সে এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন
আবদুর রহিম বলেন, তাঁর ছেলে জন্ম থেকেই দুই হাত নেই, ডান পা-ও নেই। বাঁ পা থাকলেও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক ছোট। কিন্তু কখনোই সে পরনির্ভরশীল হতে চায়নি। পড়ালেখা শেখার গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে। তাই তাকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। একেক করে সে এবার দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। শ্রুতলেখক না নিয়ে সে কষ্ট করে বাঁ পা দিয়ে লিখে পরীক্ষায় পাস করেছে। আজ সকালে তার পাস করার খবর পেয়ে পরিবারের সবাই আনন্দিত। তিনি তাঁর ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চান।
রাসেল মৃধা বলে, সে পা দিয়ে লিখতে অসুবিধা বোধ করেনি। কিন্তু এতে সময় লেগেছে অনেক। তাই পরীক্ষার সময় পুরো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারেনি। তবু জিপিএ ৩ দশমিক ৮৮ পেয়ে সে খুশি। তবে তার আশা, পরবর্তী পরীক্ষায় সে আরও ভালো করবে। দ্রুত লেখার অভ্যাস গড়বে। ফলের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দেওয়ার পাশাপাশি মা-বাবা, শিক্ষক ও সহপাঠীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
প্রথম আলোর প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে রাসেল মৃধা। কারণ, অষ্টম শ্রেণিতে পরীক্ষা দেওয়ার সময় প্রথম আলোতে তাকে নিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সেই প্রতিবেদন পড়ে তাকে একটি ল্যাপটপ উপহার দেন। এতে লেখাপড়া করতে আরও অনুপ্রাণিত হয় সে। দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার সময়ও রাসেল মৃধাকে নিয়ে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে চায়।
সুত্র: প্রথম আলো