সেই ভারতের বিদায়ে সারা দেশে উল্লাস

ঢাকা : এটা যেন ব্যতিক্রম১ দৃশ্য। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত হারলো, আর বাংলাদেশে হলো তার আনন্দ উৎযাপন! বিস্মিত হওয়ার মতো খবর বটে। কিন্তু সত্যি এটাই। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম যে বড়ই প্রতিবাদী। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে অবিচারের কথা ভোলার নয়, বরং তা কাঁটা হয়ে বুকে বিধে আছে। ভারতের বিদায়ে বুকের মধ্যে জমে থাকা সেই জ্বালা মেটালো ক্রিকেট প্রেমীরা!

সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৯৫ রানের বিরাট ব্যবধানে ভারত হারার পর ঢাকার টিএসসিসহ বিভিন্ন স্থানে আনন্দ উৎযাপন করতে থাকে তারা। শুধু কি তাই? ভারতের উদ্দেশ্যে জুতা প্রদর্শন, নানা স্লোগান দিয়ে ভারতকে তিরষ্কারও করতে থাকে। ঢাকার বাইরের জেলাসহ সারাদেশ থেকেই ভারতের বিদায়ে আনন্দ উৎযাপনের খবর পাওয়া গেছে।

অস্ট্রেলিয়া-ভারত ম্যাচে বাংলাদেশীদের সমর্থন প্রতিবেশী দেশটির পক্ষেই থাকে সবসময়। কিন্তু এবার দেখা গেল উল্টো। ভারত ম্যাচে অবিচারের স্বীকার হওয়ায় বেশীরভাগ বাংলাদেশীর সমর্থন যায় অস্ট্রেলিয়ার দিকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে ম্যাচও চলে যেতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার দিকে। সেই সঙ্গে উল্লাসও বাড়তে থাকে বাংলাদেশী দর্শকদের মধ্যে। ৯৪ রানের বিরাট ব্যবধানে ভারত ম্যাচ হারার পর চূড়ান্ত স্বস্তি প্রকাশ করতে থাকে তারা। ভারত যে ফাইনালে যেতে পারেনি, এটাই যে তাদের কাছে সবচেয়ে স্বস্তি। আম্পয়ারদের কারণে ভারতকে হারাতে পারনি বাংলাদেশ। কিন্তু সেই ভারতকেও বাদ পড়তে হেয়েছে। এটাই যে তাদের কাছে বড় আনন্দ।

ফেয়ার আম্পায়ারিং কাকে বলে সেটা কি  ভারত- অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ থেকে শিখেছেন ইয়ান গৌল্ড? কুমার ধর্মসেনা থেকে তার যে অনেক কিছুই শেখার আছে। কি পরিষ্কার এবং নিখুঁত আম্পায়ারিংটাই না করলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এ অল রাউন্ডার!

কেনো বাংলাদেশ- ভারত ম্যাচে এমন পরিচ্ছন্ন আম্পায়ারিং হলো না? আইসিসির শক্তিধর চেয়ারম্যান শ্রীনিবাসনের কাছে বিক্রী হয়ে গিয়েছিলেন ইংলিশ আম্পায়ার ইয়ান গৌল্ড। খোদ আইসিসি প্রেসিডেন্ট আ হ ম মুস্তফা কামাল দাবি এমনই। আইসিসিতে ভারতের অধিপত্যের বিপক্ষে তিনি লড়াইয়েরও ঘোষনা দেন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।