অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দ্রুততম সময়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে এ সেবা ব্যবহার করেই মানুষ তাদের পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়ের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। সর্বশেষ হিসাব মতে, দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ। এরমধ্যে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার হিসাবই বন্ধ রয়েছে। বাকি ২ কোটি ৩১ লাখ সক্রিয় হিসাব দিয়ে নবেম্বর মাসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১৯ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হিসাব খেলা ও পরিচালনায় কড়াকড়ি আরোপের ফলে সক্রিয় হিসাবের সংখ্যা কমেছে।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে টানা তিন মাস কোনো ধরনের লেনদেন না হলে তা ইন-অ্যাকটিভ বা নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। আর তিন মাসের মধ্যে একটি লেনদেন হলেই তা সক্রিয় হিসেবে বিবেচিত। অবশ্য বড় কোনো অনিয়ম না পাওয়া গেলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে না ব্যাংক। কিন্তু সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় অপব্যবহার ঠেকাতে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে হিসাব খেfলা ও পরিচালনা এবং লেনদেনে আরও বেশি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, এখন একজন ব্যক্তি একটি সিম দিয়ে যেকোনো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় একটি মাত্র হিসাব চালু রাখতে পারবেন। ওই নির্দেশনার পর যাদের একাধিক হিসাব ছিল তা বন্ধ করা হয়। চলমান রয়েছে, তা দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এই অবস্থায় নবেম্বর মাস শেষে সক্রিয় হিসাবের সংখ্যা ১৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৩১ লাখ ৩১ হাজার। আর বন্ধ হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ ৩৫ হাজার। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বন্ধ হিসাবের সংখ্যা মোবাইল ব্যাংকি প্রতিষ্ঠান বিকাশের।