নিজস্ব প্রতিবেদক | ১৫ জুলাই, ২০২০
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম নিজেকে যতোই ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করুক না কেন, সে মূলত চতুর ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু। বুধবার (১৫ জুলাই) এই পলাতক আসামিকে আটকের পরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি এসময় তার বিরুদ্ধে প্রতারণার কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন এবং কীভাবে তাকে ধরা সম্ভব হলো সেসব নিয়ে কথা বলেন।
বুধবার সকাল ৯টায় সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনার পর সাহেদকে প্রথমে র্যাব সদর দপ্তরে নেয়া হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে নিয়ে র্যাব রাজধানীর উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ২০ নম্বর সড়কের ৬২ নম্বর বাসায় অভিযান চালায়। সিএইচএল বায়তুল এহসান নামের এই বহুতল ভবনের পঞ্চম তলায় সাহেদ করিমের একটি গোপন অফিস আছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তারা। আইন বিষয়ে কোনও ডিগ্রি না থাকলেও এটি ছিল তার ল চেম্বার। অভিযানে সেখান থেকে জাল টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রিজেন্ট গ্রুপের এমডি মাসুদ পারভেজের তথ্যের ভিত্তিতেই সাহেদের অবস্থান জেনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার ভোর ৫টার দিকে সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরায় গ্রেপ্তার করা হয়। নৌপথে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। যেন কেউ চিনতে না পারে সেজন্য বোরকা পরে নৌকায় করে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে র্যাবের নজরদারির কারণে এমন কিছু করতে পারেননি তিনি। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ সকাল নটার দিকে র্যাবের হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। এসময় কর্মকর্তারা জানান, গোঁফ কেটে চেহারা পালটিয়ে পাগলের বেশ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন সাহেদ।
মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সে নিজেকে কখনও অবসরপ্রাপ্ত কখনও চাকরিরত সেনা কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিতো। কখনও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পরিচয় দিতো এবং সুকৌশলে ছবি তুলে সেটা ব্যবহার করতো। এমনকি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, সাহেদ বালু,পাথর ব্যবসায়ীদের ভুয়া লাইসেন্স দিয়ে প্রতারিত করেছে।