নিজস্ব প্রতিবেদক: ফাজিল ও কামিল মাদরাসা সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। সৌদি সরকারের অর্থায়নে ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রচারণ ও আধুনিকায়ন’শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রগুলো নির্মিত হবে। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. রোশন খান বলেন, সৌদি সরকারের অর্থায়নে বিভাগীয় শহরে আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণে সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির কাজ চলছে। জমি অধিগ্রহণের জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়সহ জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এর আগে ২৮ নভেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয়ে পাঠানো পত্রে বলা হয়েছে, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সভায় আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের পত্র দিয়ে অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ থেকে ৭ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি সফরকালে ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে দেশটির সরকার আগ্রহ প্রকাশ করে। এরমধ্যে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন শীর্ষক প্রকল্পটিও ছিল।
প্রসঙ্গত, আলেম সমাজের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়’ আইন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল (অনার্স) এবং কামিল (মাস্টার্স) মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ফাজিল এবং কামিল মাদরাসার অনুমোদন ও বাতিল, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, পরীক্ষা গ্রহণ, ডিগ্রি প্রদান, পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যসূচির আধুনিকীকরণ, শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা বৃদ্ধিসহ যাবতীয় বিষয় ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ন্যস্ত করা হয়।
বর্তমানে কামিল এবং ফাজিল পর্যায়ে ১৯০০ মাদরাসা রয়েছে। এরমধ্যে ৩১ মাদরাসায় অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে। আরো ২১ মাদরাসায় এসব কোর্স চালুর কার্যক্রম চলছে।