স্টাফ রিপোর্টার,২৪ অক্টোবর ২০২১ : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দেয়ার ঘোষণা গত সাত বছরেও কার্যকর হয়নি। শিক্ষকদের অভিযোগ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের গড়িমসিতে এর বাস্তবায়ন আটকে আছে। এই গড়িমসিতে সাত বছরেও প্রধান শিক্ষকদের নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদার গেজেট প্রকাশ হয়নি এবং তাদের বেতন আগের কাঠামোতেই রয়ে গেছে।
আরো পড়ুনঃ প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকরা টাইমস্কেল জটিলতায় অর্থমন্ত্রনালয়ের বক্তব্য
আগের তৃতীয় শ্রেণীর বেতন পাচ্ছেন তারা। এ গড়িমসির নিরসনে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (রিয়াজ-নজরুল)
বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও মন্ত্রনালয় এ ব্যাপার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
তাদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীতের সাত বছরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষক সমাজ চরম হতাশ। এতে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষকরা।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর ননগেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে সরকার প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ১১ তম গ্রেড ও ১২ তম গ্রেড নির্ধারণ করে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা পাওয়া পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, নার্স, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন সচিবদেরকেও দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সিনিয়ার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও টাইমস্কেল বঞ্চিত কমিটির আহ্বায়ক স্বরুপ দাস বলেন আমরা প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা সবচেয়ে অবহেলিত। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে শিক্ষকদের ১৪/১২/২০১৫ ইং পর্যন্ত বকেয়া টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড আটকে আছে বছরের পর বছর। এ সমস্যা সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
তিনি দ্রুত টাইমস্কেল বঞ্চিতদের নিয়ে সভা আহ্বান করে নতুন কর্মসুচি ঘোষনা করবেন বলে জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলম মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের টাইমস্কেল তাদের কেবল প্রাপ্যই নয়, এটা এই শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা। আমরা অর্থমন্ত্রনালয়ের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।
বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণীর হলেও তারা বেতন পান ১১ ও ১২তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণীর অন্য সব চাকরিজীবী দশম গ্রেডে বেতন পান। নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন কাঠামোর দশম স্কেলে বেতন পান।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করার ঘোষণা দেন।