নিজস্ব প্রতিবেদক, ০৩ আগস্ট , ২০১৯
আমার এ দেশটি পরাধীনতা হতে মুক্ত। আমরা এখন গর্বিত জাতি। এই জাতি গঠনে সবচেয়ে বড় অবদান একজন শিক্ষকের। হাতে হাত ধরে অ আ শেখানো শিক্ষকরা আজও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিক্ষকদের উচ্চ বেতন ও ভিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়। আমাদের দেশের শিক্ষকরা তো উচ্চ বেতন বা ভিআইপি মর্যাদা চায়নি। প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা একটু সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চায়। এটা কি অন্যায়?
মানসম্মত শিক্ষা অর্জন সম্ভব। তার আগে শিক্ষকের মান বাড়াতে হবে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা পরিবর্তন হয়েছে। এখন সহকারী শিক্ষকের যোগ্যতা লাগে স্নাতক পাস। স্নাতক পাসে ১৫তম গ্রেড বেমানান। যেখানে অন্যান্য বিভাগে ডিপ্লোমাসহ এইচএসসি পাস ১০ম গ্রেডে বেতন, সেখানে প্রাথমিক শিক্ষকরা বেতন পান ১৫তম গ্রেডে। এটা চরম বৈষম্য।
এই বৈষম্য কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে আসছেন এবং বৈষম্য নিরসনের কথা বলেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার ভয়েস কলে এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বেতন বৈষম্য দূরীকরণে আশ্বাস দিয়েছেন। সচিব স্যার প্রায় প্রতিটি সেমিনারে বেতনবৈষম্যের অবসানের কথা বলছেন। বিভিন্নভাবে ১১তম গ্রেড প্রাপ্তির কথা বলছেন। অথচ বাস্তবে কিছুই নয়। আর কত দেরি?
মানসম্মত শিক্ষার জন্য সহকারী শিক্ষকদের ভূমিকা শতভাগ। অথচ নুন আনতে পান্তা ফুরানো সহকারী শিক্ষকবৃন্দ আজও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ও নিম্ন বেতন স্কেল। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার শতভাগ যৌক্তিকতা সত্ত্বেও লুকোচুরি হচ্ছে। আশ্বাস দিয়ে ১১তম গ্রেড দেওয়া হচ্ছে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটু সুনজর দিলে আমাদের অধিকার ১১তম গ্রেড পেয়ে যেতাম। কিন্তু ১১তম গ্রেড যেন একটা স্বপ্ন। বারবার ঘুমের ঘোরে স্বপ্ন দেখি ১১তম গ্রেডের।
প্রধানশিক্ষকদের ১০ম গ্রেড এর গেজেট প্রকাশের সঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রদানই মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারে।
লেখক: শিক্ষক