সরকারী কর্মচারীদের স্বচ্ছভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে ॥ মুহিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রযুক্তির কল্যাণে জ্ঞানের জগতও উন্মুক্ত। তাই জবাবদিহি করতে হবে বিষয়টি মাথায় রেখে সকল সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীকে স্বচ্ছভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের যৌথ উদ্যোগে ‘সরকারী কর্ম-প্রক্রিয়ায় শুদ্ধাচার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব ড. মোঃ শামসুল আরেফিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার) এএনএম জিয়াউল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রেজোয়ান হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

অর্থমন্ত্রী সরকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সকল কাজ হতে হবে জনকল্যাণমূলক এবং গোষ্ঠী স্বার্থ থাকলে কোন কাজই জনকল্যাণমূলক হবে না এটাও মাথায় রাখতে হবে। বর্তমানে দেশের সরকারী কর্ম-প্রক্রিয়ায় অনেক গুণগত পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর কেউ গোপনীয়তার সংস্কৃতি অনুসরণ করে না। এখন দেশে তথ্য অধিকারসহ বিভিন্ন আইন রয়েছে যার মাধ্যমে যে কোন সময় যে কোন ব্যক্তি সরকারী কর্ম-প্রক্রিয়ার যে কোন পর্যায়ের তথ্য চাইতে পারে। তাই প্রত্যেককেই আইন অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি কাজেই স্ববিবেচনার সুযোগ রয়েছে। আর এই স্ব-বিবেচনার ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হলে অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, সচিবালয় নির্দেশমালা না মানা দুর্নীতির একটি উৎস হতে পারে। কালক্ষেপণই দুর্নীতির অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিবালয় নির্দেশমালা ২০১৪ অনুসরণ করে নির্দিষ্ট সময়-সীমার মধ্যে বিষয় (মামলা) নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করতে বলেন। একইসঙ্গে সময়াবদ্ধ সময়ে বিষয় নিষ্পত্তিতে ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করা জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান। বিজনেস প্রসেস রিইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, পদ্ধতিগত পরিবর্তনের মাধ্যমেই দুর্নীতির অনেক উৎস বন্ধ করা যায়। দুদক চেয়ারম্যান, ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা নিজ নিজ মন্ত্রণালয় বা বিভাগ অথবা অধীন অধিদফতরের অন্তত একজন করে দুর্নীতির কুখ্যাতি রয়েছে এমন নোন টু বি করাপ্ট কর্মকর্তা চিহ্নিত করে তাদের তালিকা দুদকে প্রেরণ করুন। কমিশন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।