জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৬২ বছর আর সাধারণ গণকর্মচারীর অবসরের বয়স ৬১ বছর করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন থাকলেও নানা কারণে তা বাস্তবে রূপ পাচ্ছে না। এর আগে গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স প্রথমবার বাড়ানো হয় ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। এ সময় ১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী অবসর আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়।
সর্বশেষ ২০১১ সালের ৩ ফেরুয়ারি আলোচ্য আইন পুনরায় সংশোধন করে সব ধরনের গণকর্মচারীর অবসরের বয়স ৫৯ বছর করা হয় আর মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীর অবসরের বয়স করা হয় ৬০ বছর।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আদালতেরও একটি নির্দেশনা রয়েছে। বয়স বাড়ানো হলে পদোন্নতির সুযোগ খুব কাছে থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তাই বয়স বাড়ানোর প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকেই আপত্তি করছেন। এদিকে সর্বোচ্চ আদালতরে আদেশ প্রতিপালনে বাধ্য আমরা। তবে একসঙ্গে চাকররি বয়স ৬৫ বছরে উন্নীত করলে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হবে প্রশাসনে। খুব সহজে এই জটলিতা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না। এজন্য আপাতত সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান রেখে সরকারি চাকরিজীবীদের বয়স বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।