সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৬০ বছর

অবশেষে বাড়ছে সরকারি কর্মকর্তাgov-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বরে এ সংক্রান্ত ঘোষণা আসতে পারে। তার আগেই এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। আপাতত অবসর গ্রহণের এ বয়সসীমা বাড়বে একবছর।  পরবর্তী সময়ে আরও কয়েকটি ধাপে  এই বয়সসীমা বাড়বে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরে সরকারের ওপর মহলে   আলোচনা চললেও নানা কারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা হচ্ছিল। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের আগ্রহকেই প্রাধান্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার  বয়সসীমা রয়েছে ৫৯ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধা কর্মচারীদের অবসরের বয়স রয়েছে ৬০ বছর। একবছর বাড়লে সাধারণ গণকর্মচারীর জন্য হবে ৬০ বছর আর মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীর বয়স হবে ৬১ বছর।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৬২ বছর আর সাধারণ গণকর্মচারীর অবসরের বয়স ৬১ বছর করার বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনাধীন থাকলেও নানা কারণে তা বাস্তবে রূপ পাচ্ছে না। এর আগে গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স প্রথমবার বাড়ানো হয় ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। এ সময় ১৯৭৪ সালের গণকর্মচারী অবসর আইন সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়।

সর্বশেষ ২০১১ সালের ৩ ফেরুয়ারি আলোচ্য আইন পুনরায় সংশোধন করে সব ধরনের গণকর্মচারীর অবসরের বয়স ৫৯ বছর করা হয় আর মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীর অবসরের বয়স করা হয় ৬০ বছর।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আদালতেরও একটি নির্দেশনা রয়েছে। বয়স বাড়ানো হলে পদোন্নতির সুযোগ খুব কাছে থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তাই বয়স বাড়ানোর প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকেই আপত্তি করছেন। এদিকে সর্বোচ্চ আদালতরে আদেশ প্রতিপালনে বাধ্য আমরা। তবে একসঙ্গে চাকররি বয়স ৬৫ বছরে উন্নীত করলে নানা রকম জটিলতা সৃষ্টি হবে প্রশাসনে। খুব সহজে এই জটলিতা কাটিয়ে ওঠা সহজ হবে না। এজন্য আপাতত সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি সম্মান রেখে সরকারি চাকরিজীবীদের বয়স বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।