এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতার সরকারি অংশের (এমপিও) চেক ছাড় হয়েছে গত মঙ্গলবার। তবে শিক্ষকরা কবে নাগাদ এই বেতন তুলতে পারবেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগ সবাইকে ফেলে দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তায়।
কারণ, বেসরকারি প্রায় সব স্কুল-কলেজ-মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদ বাগিয়ে বসেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর থেকে তারাও লাপাত্তা।
কিন্তু, এমপিওর ছাড় হওয়া বেতন তুলতে সভাপতির স্বাক্ষরসহ বিল ব্যাংকে জমা দেয়ার নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মই চরম অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। ইউএনওদের স্বাক্ষরে বিল হলেও অফিসে তাদের অধিকাংশ এখনো অনিয়মিত।
জানা গেছে, প্রতিমাসে তিন অধিদপ্তরের মোট ৩২ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে পাঁচ লাখ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীকে বেতন-ভাতার সরকারি অংশ হিসেবে ১১শ’কোটি টাকা দেয়া হয়।
আরো পড়ুন: চুয়েটে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা
চেক ছাড়ের পর বিল তৈরি করে প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকে পাঠায়। এবার ছাড় হওয়া জুলাই মাসের চেকের বিলে সই করার শেষ সময় ১৪ আগস্ট। এ সময়ের মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতির সই সংগ্রহ করা বর্তমান বাস্তবতায় কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই এমপিওভুক্ত সাড়ে পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী ভুগছেন চরম উৎকণ্ঠায়।
বিষয়টি নিয়ে দেশের নানা প্রান্তের অন্তত অর্ধশত এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছে দৈনিক আমাদের বার্তা। তারা জানিয়েছেন, সইয়ের জন্য সভাপতিকে ফোন করে ও বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বেশির ভাগই পলাতক। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা উৎকণ্ঠিত সময় পার করছেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাফরনগর অপর্ণা চরণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইনসট্রাক্টর আকতারুজ্জামান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, বেতন বিলে সভাপতির স্বাক্ষর লাগে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে বিদ্যালয়ের সভাপতি হয়ে আসছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এখন দেশের এই অবস্থায় বেশির ভাগ স্কুল-কলেজের সভাপতি লাপাত্তা। তাহলে বেতন বিলে কে স্বাক্ষর করবেন?