ডেস্ক,২১ মার্চ ২০২৩:
দেশের বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি আদায়ে আগামী ১১ জুন থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় করণের দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ বজলুর রহমান মিয়া।
আরো পড়ুন: অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেলেন ৬৮৬ জন,তালিকা দেখুন
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে অনেক সময় দিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে অনেকবার বৈঠকের চেষ্টা করেছি কিন্তু তিনি সময় দেননি। তাই আমরা জাতীয়করণের এক দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। আগামী এক বা দুই জুন বাজেট ঘোষণা করা হবে। এবারের বাজেটে যদি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য বরাদ্দ না রাখা হয়, তবে ১১ জুন থেকে আমরা ধর্মঘট শুরু করব। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না।’
সমাবেশে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শিক্ষকরা জানান, একই সিলেবাস, একই অ্যাকাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন উত্তরপত্র মূল্যায়নের নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে বৈষম্য রয়েছে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে দেয়া হয়। তাছাড়া উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের বেতন স্কেল ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসরে যাওয়ার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার আগেই অর্থাভাবে বিনাচিকৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়া কয়েক বছর ধরে কোনো ধরনের সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কাটা হচ্ছে, যা অত্যন্ত অমানবিক। এই অবস্থায় দেশ ও জনগণের স্বার্থে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করার দাবি জানান তারা।