ডেস্ক,১৭ জানুয়ারী ২০২৩:
আমাদের সরকার ও শিক্ষাবিদেরা ঠিক কোন ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম জাতির সামনে আনছেন, তা দেখার জন্য প্রথমেই আমি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে চোখ বুলানোর চেষ্টা করেছি। আমি যেহেতু বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ছিলাম, তাই সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞানের (অনুসন্ধানী পাঠ) পরীক্ষামূলক বইটি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ওয়েবসাইট থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম।
অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে পাঠ্যপুস্তকটি পড়া শুরু করেছিলাম। দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, লেখকদের সম্পাদনায় প্রকাশিত বইটি হাতে পাওয়ার পর সত্যি একধরনের অস্বস্তিবোধ কাজ করছে। শুরুতে যেভাবে লাইন টু লাইন অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে কপি করে বাংলা অনুবাদ করেছে, সেটি দেখার পর মনে হয়েছে, আমরা ঠিক কোন শিক্ষাব্যবস্থা কোমলমতি শিশুদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি? আমার চোখ যতটি পৃষ্ঠা নজর দিয়েছে, তার অংশ এইভাবে গুগল ট্রান্সলেটরে ভাষান্তর করা হয়েছে। আমরা হয়তো ভুলে গেছি, গুগল আমাদের বাংলা ভাষার ভাষান্তর এখনো সঠিকভাবে দিতে পারে না। ভুলভাল ইংরেজিতে বাংলার ভাষান্তর হয়, সেটি সম্ভবত লেখকেরা ভুলে গেছেন।
আরো পড়ুন:পাঠ্যবইয়ে ভুল, দায় স্বীকার করে যা বললেন জাফর ইকবাল-হাসিনা খান
একজন গবেষক হিসেবে পাঠ্যপুস্তকের এমন চৌর্যবৃত্তি আমি অন্তত কামনা করতে পারি না। এটিকে আমরা একাডেমিক ভাষায় প্লেইজারিজম বলি, যা গুরুতর অপরাধ বটে। আমি ঠিক জানি না, কারা কীভাবে এই বইটি লিখেছে, তবে এইটুকু নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, যে সময় ও শ্রম দিয়ে বইটি লেখার প্রয়োজন, যে টপিকগুলো তুলে ধরা প্রয়োজন, তা এই পরীক্ষামূলক সংস্করণে ব্যর্থ হয়েছে।
সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান দুটি বই রয়েছে। ‘অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের প্রথম অধ্যায়ের (তৃতীয় পৃষ্ঠা) শুরুতে তুলে ধরা হয়েছে, জীববৈচিত্র্য কী। পাঠ্যপুস্তকটিতে লেখা হয়েছে, জীববৈচিত্র্য বা Biodiversity শব্দ দ্বারা পৃথিবীতে জীবনের বিপুল বৈচিত্র্য বর্ণনা করা হয়। জীববৈচিত্র্য বলতে উদ্ভিদ, প্রাণী, অণুজীবসহ সকল জীবের মধ্যে বিদ্যমান বৈচিত্র্যকে বোঝায়। পৃথিবীতে ঠিক কত সংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন জীব আছে, তা নিশ্চিত করে এখনো আমাদের জানা নেই। তবে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে, প্রায় ৮-১৪ মিলিয়ন (৮০ থেকে ১৪০ লক্ষ) বিভিন্ন প্রজাতির জীব এই পৃথিবীতে রয়েছে। কারও কারও ধারণা মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি। তবে সংখ্যা যা–ই হোক না কেন, এসব জীবের বেশির ভাগই আমাদের অজানা।
এখন পর্যন্ত মাত্র ১.২ মিলিয়ন (১২ লক্ষ) প্রজাতি শনাক্ত এবং বর্ণনা করা হয়েছে, যার অধিকাংশই অবশ্য পোকামাকড়। এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে, কোটি কোটি অন্যান্য জীব এখনো আমাদের কাছে রহস্যময়, অজানা।
আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলে, এটি যেখান থেকে লেখকেরা তুলে এনেছেন, তার সূত্র মূল লেখায় উল্লেখ না করা হলেও, কয়েক মিনিটে গুগলে বলে দিচ্ছে, এই কয়েকটি বাক্য হুবহু ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডট ওআরজি ((https://education. nationalgeographic. org/resource/biodiversity) থেকে নেওয়া হয়েছে। ইংরেজিতে সেখানে লেখা রয়েছে, Biodiversity refers to every living thing, including plants, bacteria, animals, and humans. Scientists have estimated that there are around 8.7 million species of plants and animals in existence. However, only around 1.2 million species have been identified and described so far, most of which are insects. This means that millions of other organisms remain a complete mystery.
বিদেশি ভাষা থেকে ভাষান্তর করে লেখা পাঠ্যপুস্তক অনেক রয়েছে। তবে ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্তি স্বীকার না করে হুবহু মেরে দেওয়া একাডেমিক ভাষায় ‘চৌর্যবৃত্তি’। আর চৌর্যবৃত্তি করে জ্ঞানের বিকাশ মূলত অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল। এমনকি যে ওয়েবসাইট থেকে আমাদের পাঠ্যপুস্তকের অংশগুলো নেওয়া হয়েছে, সেই ওয়েবসাইটই বলেছে, তা ব্যবহার করার জন্য অনুমতি এবং উপযুক্ত ক্রেডিট দিতে। আমি ঠিক জানি না কেন তাঁরা ওই ওয়েবসাইট থেকে কপি-পেস্ট করতে গিয়েছেন, তবে একই টপিকের সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ভার্সনের চোখ রাখায় দুরূহ।
এবার তাঁরা বাংলা লেখাটিকে ‘গুগল ট্রান্সলেটর’ এর মাধ্যমে হুবহু ভাষান্তর করে পাঠ্যপুস্তকে ছেপেছে। ধরলাম, এই দেশের শিক্ষার্থীদের বড় অংশ ইংরেজি ভার্সনে অধ্যয়ন করে না। কিন্তু দেশের সরকার তাদের জন্য যে পাঠ্যপুস্তক দিয়েছে, সেখানে ইংরেজি শেখার চেয়ে যদি ভুলভাল ইংরেজি শেখে, তার দায়িত্ব কে নেবে? এমন পাঠ্যপুস্তক একজন শিক্ষার্থীকে আলোতে দেখাতে পারবেই না বরং কেউ যদি ইংরেজি ভার্সনে পড়াশোনা করতে চায়, তাহলে এমন হযবরল ইংরেজি শিখবে, যা তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তৃতীয় পৃষ্ঠায় জীববৈচিত্র্যের উদ্ভব পরিচ্ছেদে বলা হয়েছে, বর্তমানে জীবিত সকল প্রজাতির অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলো হাজার হাজার বছরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বিকশিত। যে জীবগুলো সময়ের সঙ্গে বিবর্তিত ও অভিযোজিত হয়ে হয়ে একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা হয়ে গেছে যে, যে সেগুলো আর একে অপরের সঙ্গে প্রজননে অংশ নিতে পারে না, সেগুলোর আলাদা প্রজাতি (Species) হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেসব জীব একে অপরের সঙ্গে প্রজনন করতে পারে, সেগুলোকে সাধারণত একই প্রজাতির ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এই অংশটুকুও ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডট ওআরজি থেকে কপি করে ভাষান্তর করা হয়েছে মাত্র। মূল লেখাটিতে ইংরেজিতে যা ছিল তা হলো, Over generations, all of the species that are currently alive today have evolved unique traits that make them distinct from other species. Organisms that have evolved to be so different from one another that they can no longer reproduce with each other are considered different species. All organisms that can reproduce with each other fall into one species.
পঞ্চম পৃষ্ঠার কয়েকটি বিচ্ছিন্ন বাক্য ঠিক একই ওয়েবসাইট থেকে নামানো হয়েছে। ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে পাঠ্যপুস্তকের ভাষায় লেখা আছে, Some areas in the world, such as areas of Mexico, South Africa, Brazil, the southwestern United States, and Madagascar, have more biodiversity than others. Areas with extremely high levels of biodiversity are called hotspots.
এই বাক্যগুলোর বাংলা ভাষান্তর করে পাঠ্যপুস্তকে লেখা হয়েছে, ‘বিশ্বের কিছু অঞ্চল, যেমন মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, দক্ষিণ-পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মাদাগাস্কারের অঞ্চলে অন্যদের চেয়ে বেশি জীববৈচিত্র্য রয়েছে। বিশ্বের এসব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় প্রজাতি রয়েছে। স্থানীয় প্রজাতির উচ্চ সংখ্যার অঞ্চলগুলোকে জীববৈচিত্র্যের হটস্পট (Hotspot) বলা হয়।’
আমাদের দেশের এই পাঠ্যপুস্তকের লেখকেরা এমনভাবে লেখাটি লিখেছেন, তাতে মনে হবে, এই সব তথ্য নিজেরা এক্সপেরিমেন্ট, জরিপ করে পেয়েছে আর তার আলোকে লিখেছে। কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন। বরং নিজেদের মেধাকে ব্যবহার না করে ‘পরের ধনে পোদ্দারি’ করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা কখনোই শোভনীয় নয়।
এই সংজ্ঞাগুলো নতুন নয়, দীর্ঘদিন ধরে আমরা অন্যান্য পাঠ্যপুস্তকে পড়ে এসেছি। আমি ঠিক জানি না, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডট ওআরজিকে কেন এই টেক্সট বইয়ের লেখকেরা ‘বিশ্বাসযোগ্য তথ্যসূত্র মনে করেছে, এই সব তথ্যের যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ তাঁরা পেয়েছিলেন কি না, তবে এইভাবে বিদেশি ভাষার লেখা হুবহু ভাষান্তর করে শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ পাঠটি কঠিন হয়ে গিয়েছে। হ্যাঁ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডট ওআরজি যে টপিকটি লিখেছে, তারা বিভিন্ন জার্নাল, পত্রপত্রিকা থেকে কেবল তথ্য নিয়ে নিজের ভাষায় লিখেছে এবং ক্রেডিটও দিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের এই পাঠ্যপুস্তকের লেখকেরা এমনভাবে লেখাটি লিখেছেন, তাতে মনে হবে, এই সব তথ্য নিজেরা এক্সপেরিমেন্ট, জরিপ করে পেয়েছে আর তার আলোকে লিখেছে। কিন্তু বাস্তবে তা ভিন্ন। বরং নিজেদের মেধাকে ব্যবহার না করে ‘পরের ধনে পোদ্দারি’ করার চেষ্টা করা হয়েছে, যা কখনোই শোভনীয় নয়।
সেটি যদি না হয়, তাহলে এই যে পঞ্চম পাতায় ‘জীবের পারস্পরিক সম্পর্ক’ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতি বেঁচে থাকার জন্য এবং সেগুলোর বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একসঙ্গে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, চারণভূমির ঘাস গবাদিপশু খায়। গবাদিপশু যে মল ত্যাগ করে, তা সার তৈরি করে যা মাটিতে পুষ্টি ফেরত দেয়, যা আরও ঘাস জন্মাতে সাহায্য করে। এই সার ফসলি জমিতে প্রয়োগ করার জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। পৃথিবীর অনেক প্রজাতি খাদ্য, পোশাক এবং ওষুধসহ নানা উপকরণ প্রদান করে মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
যা মূল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়েবসাইটে ছিল, All of the Earth’s species work together to survive and maintain their ecosystems. For example, the grass in pastures feeds cattle. Cattle then produce manure that returns nutrients to the soil, which helps to grow more grass. This manure can also be used to fertilize cropland. Many species provide important benefits to humans, including food, clothing, and medicine.
আবার নবম পৃষ্ঠায় ‘জীববৈচিত্র্যের ঝুঁকি ও প্রতিকার’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, পৃথিবীর বেশির ভাগ জীববৈচিত্র্য মানুষের ব্যবহার এবং অন্যান্য কর্মকাণ্ডের কারণে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, যা বাস্তুতন্ত্রকে বিশৃঙ্খল করে, এমনকি কখনো কখনো বিনষ্টও করে ফেলে। দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি সবই জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। এই হুমকি প্রজাতি বিলুপ্তির পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে। কিছু বিজ্ঞানী অনুমান করেছেন যে, আগামী শতাব্দীর মধ্যে পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতির অর্ধেক নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
এই কয়েকটি বাক্য হুবহু ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ডট ওআরজি থেকে বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে। nationalgeographic.org ওয়েবসাইটে লেখা ছিল, Much of the Earth’s biodiversity, however, is in jeopardy due to human consumption and other activities that disturb and even destroy ecosystems. Pollution, climate change, and population growth are all threats to biodiversity. These threats have caused an unprecedented rise in the rate of species extinction. Some scientists estimate that half of all species on Earth will be wiped out within the next century.
এই সব কপি পেস্ট করে লেখার মধ্যে পাঠ্যপুস্তকের মান কতটা বাড়ল না কমল, তা সংশ্লিষ্টরা বলতে পারবেন। তবে একজন সচেতন গবেষক হিসেবে, আমি অন্তত এই অনৈতিক কাজকে সমর্থন করতে পারি না। সহজে মজার বিষয় হলো, ওই বইয়ে ২৪ পৃষ্ঠায় যৌগিক পদার্থের বর্ণনা দিতে গিয়ে লোহার মরিচা ধরার উদাহরণ টানা হয়েছে। লোহার গায়ে মরিচা ধরার কারণ হিসেবে ফেরিক অক্সাইড উল্লেখ করা হলেও সেখানে অপ্রাসঙ্গিকভাবে মঙ্গলগ্রহের একটি ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলগ্রহের লাল রঙের বর্ণনায় ফেরিক অক্সাইডকে তুলে ধরা হলেও মঙ্গলগ্রহের সঙ্গে যৌগিক পদার্থের সম্পর্ক ঠিক কী তা, অস্পষ্ট। কিছুদিন আগে রাজশাহীর আকাশ লাল হয়ে গিয়েছিল, আমরা কী তাহলে বলব, ফেরিক অক্সাইডের কারণে আকাশে আমরা লাল রং দেখতে পাই? না, এই যুক্তির সঙ্গে মঙ্গলগ্রহের ছবি যায় না। এখন যদি কেউ দাবি করে এ ছাড়াও নাসার ওয়েবসাইট বলছে, মঙ্গলগ্রহের লাল রং জন্য খনিজ পদার্থ লোহা, পাথর ও অ্যাটমস্ফিয়ারের কারণে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠ লাল রং ধারণ করতে পারে, তারা বলেনি সেটি ফেরিক অক্সাইডই দায়ী।
শুধু তা–ই নয়, পাঠ্যপুস্তকটিতে অনায়াসে ফটোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে। নবম অধ্যায়ে নেপালের ভূমিকম্প, সুনামি, বন্যায় কিংবা জলোচ্ছ্বাসের ধ্বংসস্তূপসহ বিভিন্ন অধ্যায়ে ফটোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে কোনো ক্রেডিট ছাড়ায়ই । এ ছাড়া ওই অধ্যায়ে ৯০ পৃষ্ঠায় সংবেদনশীল ছবি ছাপানো হয়েছে। ‘বন্যায় আশ্রয়ের জন্য যাচ্ছে ছোট শিশু’ ফটোগ্রাফিতে স্পষ্ট শিশু দুইটির মুখাবয়ব দেখা যাচ্ছে।
ইউনেসকোর শিশু অধিকার আইন অনুযায়ী যা একধরনের অপরাধ বটে। অনুমতি ছাড়া কারও ছবি তোলা যে অন্যায়, এই শিক্ষাটি আমাদের পাঠ্যবইয়ে স্থান পাওয়ার কথা, সেটি না করে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিকভাবে ছবিগুলো দেওয়া হয়েছে। অথচ উন্নত বিশ্বের পাঠ্যবইগুলোতে আপনি কল্পিত ছবিই বেশি পাবেন, যাতে করে শিশুদের মনে ছবি দেখে পাঠ্যসুখ পায়।
এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক সচেতন। আপনি কিছুতেই তথ্য লুকাতে পারবেন না। আপনার চৌর্যবৃত্তি মিনিটে হাতের কাছে মুঠোফোনে ঠিকই বের করে ফেলবে। আর তা থেকে মুক্তি পেতে থাকতে হবে স্বকীয়তা। ভাষান্তর করে বই লেখার মধ্যে কোনো বীরত্ব নেই, বরং সেটি যে আমাদের ক্ষতির কারণ, তা ভাবতে হবে। শিশুরা সততার শিক্ষা না পেলে জাতির সৎ থাকা দুরূহ বটে।
ড. নাদিম মাহমুদ, গবেষক, ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
ই–মেইল: [email protected]
সুত্র: প্রথম আলো থেকে নেয়া