ডেস্ক: শুক্রবার রাতে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গিরা দেশি-বিদেশিসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করে ২০ জনকে হত্যা করে। পরে শনিবার কমান্ডো অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অভিযানের পর ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করে তারা।
সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের নেওয়া হয় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। তাদের কাছে ভেতরের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জানতে চান ডিবি কর্মকর্তারা। তাদের অনেককে ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনো ডিবির হেফাজতেই আছেন গুলশানের রেস্টূরেন্ট থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হাসনাত করিম ও তার স্ত্রী।
গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্টের হামলার ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া জিম্মিদের মধ্যে ছিলেন নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষক প্রকৌশলী হাসনাত করিম এবং তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। ফেসবুকে প্রকাশ হওয়া জিম্মি সঙ্কট এবং যৌথ অভিযানের কয়েকটি ফুটেজে তার আচরণ ছিল সন্দেহজনক। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দারা তাকে আটক করেছে বলে অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আলামত ও তদন্তের ভিত্তিতে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে গোয়েন্দারা সন্দেহ করছেন।
সোমবার মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, হাসনাত করিম এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রীও আছেন। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার হাসনাতের আচরনভঙ্গি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। জিম্মি ঘটনা চলাকালীন পাশের ভবন থেকে এর কিছু অংশ ভিডিও করেন এক বিদেশি। ফেসবুকে আপলোড করা এই পাঁচটি ভিডিওতে ইঞ্জিনিয়ার হাসনাত করিমের চলাফেরা সন্দেহজনক ছিল বলে জানায় ডিবি।
প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে চেক গেঞ্জি ও জিন্স পরা হাসনাতকে একাধিক স্থানে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতার করার মতো সন্দেহজনক আচরণ করতে দেখা গেছে। হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের কাঁচের তৈরি মূল ফটকটিতে তাকে বেশ কয়েকবার এসে ঘুরে যেতে দেখা যায়। দুই অস্ত্রধারীর সঙ্গে ছাদেও দেখা গেছে তাকে।
শুক্রবার রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে ১৭ বিদেশি নাগরিক, তিন বাংলাদেশি জিম্মি ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয় বলে শনিবার সেনাসদরে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।