নিজস্ব প্রতিবেদক,২০ অক্টোবর ২০২১ঃ
দেশের বিভিন্ন স্থানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, ভাঙচুর ও তাদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে শিক্ষকেরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলাকেও দায়ী করেছেন তাঁরা।
আরো পড়ুনঃ সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান বিভাগের ফলাফল প্রকাশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আয়োজিত ওই মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষকেরা অভিযোগ করেন, রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করা হয়। আর এসবের বিচার করা হয় না বলে বারবারই এমন ঘটনা ঘটে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীমা বেগমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি নূরে-আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, এসব ঘটনার জন্য সেসব এলাকার প্রশাসন কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। আমরা তাদের বিচারের দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আক্রান্ত হচ্ছে। আর যারা ভাবছে, আমরা নিরাপদ, তারাও একসময় আক্রান্ত হতে পারে, যদি না এখন আমরা প্রতিবাদ করি।’
সনাতন ধর্মাবলম্বী সহকর্মীদের উদ্দেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীমা বেগম বলেন, ‘আপনারা একা নন, আমরা আছি দুঃখ-কষ্ট ভাগ করে নেব। আপনাদের সঙ্গে প্রতিবাদ–প্রতিরোধ করব। এই শঙ্কিত অবস্থান দূর করা না গেলে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করা সম্ভব হবে না।’
এসব ঘটনার শিকড় খুঁজে বের করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি ১৯৭১ সালেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বারবার দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার জন্য তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।’
মানববন্ধনে কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে ধর্ম নিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই।’
উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই আমরা একটা পরিবারের মতো বাস করি। এটা আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। কী এমন ঘটনা ঘটল যে হিন্দুদের একটি প্রধান উৎসবে এমন ঘটনা ঘটল। কোনো কোনো মহল বলছে, এটি সরকারের কারসাজি। সরকার সব সময় চায় দেশে শান্তি থাকুক।’