ডেস্ক,৯ এপ্রিল: খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার সদ্য জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ১৯ জন সহকারি শিক্ষকগনের চাকুরী রাজস্বখাতে নিয়োগ/আত্নীকরণের নির্দেশনা চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে একটি রীট পিটিশন দায়ের করেন। রীটকারীদের পক্ষে রীট পিটিশনটি শুনানী করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।
গতকাল ০৮/০৪/২০১৮ ইং তারিখে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং মাননীয় বিচারপতি জাফর আহম্মেদ এর সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ রীট পিটিশনের প্রাথমিক শুনানী শেষে রীটকারী কর্মরত শিক্ষকগনের চাকুরি রাজস্বখাতে নিয়োগ/আত্রীকরনের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষনা করা হবেনা এবং একই সাথে কেন উক্ত শিক্ষকগনের চাকুরি রাজস্বখাতে আতœীকরনের নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে বিবাদীগণের প্রতি ৪ সপ্তাহের রুলনিশি জারী করেন মহামান্য হাইকোর্টের এই দ্বৈত বেঞ্চ।
প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। রীটকারীদের পক্ষে শুনানী করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি এর্টনি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, রীট আবেদনকারী ১৯ জনকে খুলনা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (সদ্য জাতীয়করণকৃত) সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সম্প্রতি ২০১৩ সালে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অন্যান্য সকল রেজিঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের ঘোষনা দেওয়া হয়। উক্ত নির্দেশনা অনুসারে রীট আবেদনকারীদের বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হয় ও পরবর্তীতে সময়ে রীট আবেদনকারীদের সহকর্মী শিক্ষকদেরকে রাজস্বখাতে নিয়োগ/আতœীকরণ করা হয় কিন্তুু রীট আবেদনকারীদের নিয়োগ/আতœীকরণ করা হয়নাই। বিধি অনুসারে রাজস্বখাতে নিয়োগ/আতœীকরণ সকল শর্ত পূরন করা হলেও তাদের নিয়োগ/আতœীকরণ করা হয়নি। অবশেষে রীটকারীগন প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও তাদের আতœীকরণ করা হলে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাদ পড়া কর্মরত ১৯ জন সহকারি শিক্ষক চাকুরী রাজস্বখাতে নিয়োগ/আতœীকরণের নির্দেশনা চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে এই রীট পিটিশন দায়ের করেন । রীটকারীগণ হলেন খুলনা জেলার জেলার বায়রা উপজেলার নূরনাস আকতার, সামসুন নাহার, হোসনেয়ারা আকতার, মেহজাবিন ইসলাম সোনাডাঙ্গা উপজেলার রিনজিন খাতুন সহ সর্বমোট ১৯ জন সহকারি শিক্ষক ।