নিজস্ব প্রতিবেদক : ২৮ এপ্রিল : দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে মে মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কাছে নিবন্ধনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।
অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর কথা তুলে ধরে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মুহম্মদ সাইফুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনার কথা বলা হয়।
জানা যায়, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক লাগবে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৭ মে’র মধ্যে শূন্যপদের নাম ও তালিকা এনটিআরসিএ ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এই নিবন্ধন কাজ শেষ হলে বিগত ১২টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের আবেদন করতে বলা হবে। সারাদেশে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষকের পদ খালি আছে। ৬ মাস ধরে এসব পদ খালি।
এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এএমএস আজহার বুধবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, শূন্যপদের বিপরীতে প্রার্থীরা আবেদন করলে আমরা একটি মেধা তালিকা করব। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করতে হবে। উপজেলাভিত্তিক ওই তালিকায় মোট শূন্যপদের অতিরিক্ত ২০ শতাংশ প্রার্থীকে তালিকাভুক্ত করা হবে।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দুর্নীতি বন্ধে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে (শিক্ষক নিয়োগে) অনুসরণীয় পদ্ধতি জারি করে। সে অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে প্রার্র্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এনটিআরসিএকে। জানা গেছে, এ পরিপ্রেক্ষিতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করে সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেধার ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম শুরু হবে এখন। প্রার্থী বাছাই কার্যক্রমের পূর্বশত হিসেবে প্রতিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এই নিবন্ধন করাচ্ছে এনটিআরসিএ।
চেয়ারম্যান জানান, দেশের সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে নিবন্ধন করার জন্য ইতিমধ্যে এসএমএস করা হয়েছে। দেশের সব জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তার নিজ এলাকার প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন কার্যক্রম তদারক করবেন।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন শিক্ষক নিবন্ধনের জট খুললো। ১ম থেকে ১২তম পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাও চাকরি সুযোগ পাবেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তবে, সুনির্দিষ্টভাবে কেউ এ কথা বলছেন না।
গত মাসে শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, এপ্রিল মাস থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে।