সংক্রমণ কমে এলে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: দীপু মনি

নিজস্ব প্রতিবেদক,১৫ আগষ্ট ২০২১:
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসের টিকাদানের ওপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। পাশাপাশি সংক্রমণ কমে আসার ওপরও সবকিছু নির্ভর করছে বলে মনে করছেন মন্ত্রী। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেকোনো সময় খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।

রোববার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন মহামারির যে পরিস্থিতি, তাতে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে, সেটি বলার সুযোগ নেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগে খুলে দেওয়া হবে। পরে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সংক্রমণ হার একেবারে কমে এলে একসঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্ত হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়। আমরা এটি মাথায় রাখছি। এসময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণ নিম্নমুখী হবে বলে আশা প্রকাশ করে দীপু মনি।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ব্যাপকহারে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ না হলেও সংক্রমণ যথেষ্ট পরিমাণ নিচে নেমে এলে হয়ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে নিয়ে আসতে পারব।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গতবছরের মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফা চেষ্টা চালালেও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দফায় দফায় ছুটি বাড়াতে হচ্ছে।

কঠোর বিধিনিষেধ শেষে ১১ অগাস্ট থেকে সবকিছু চালু হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছে সরকার।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের টিকাদানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষ। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশও টিকা পেয়েছে। এখন দুইটা বিষয়, সংক্রমণ হার কমে যাওয়া আর সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এরপরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবা যাবে।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো সময় যেকোনো পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি রয়েছে আমাদের। এখন সেটি নির্ভর করছে অবস্থা কখন কী রকম দাঁড়ায় তার ওপর।

মন্ত্রী এও বলেন, গতবছরের অভিজ্ঞতা বলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এ বছরও সেটি হলে সে সময়ে আমরা ভেবেছি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারব। আর তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।