মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠেয় সামষ্টিক (ষান্মাসিক ও বাৎসরিক) মূল্যায়নের খরচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বহন করতে হবে।
গতকাল রোববার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) জারি করা এ সংক্রান্ত মূল চিঠিটি সংযুক্ত করে প্রকাশ করেছে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।
চিঠিতে বলা বলেছে, দাখিল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠেয় সামষ্টিক (যান্মাসিক ও বাৎসরিক) মূল্যায়নের ব্যয় নির্বাহের নির্দেশনা অনুসরণের জন্য জানানো হলো। চিঠিটি সরকারি-বেসরকারি সব মাদরাসা অধ্যক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে এনসিটিবি’র চিঠিতে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২২-এর আলোকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিখন শেখানো কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় ষান্মাসিক ও বাৎসরিক নামে দুটি সামষ্টিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সভায় এই মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ফলে সামষ্টিক মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষার পাশাপাশি মৌখিক এবং প্রদর্শনধর্মী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য কাগজ এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য উপকরণ সংক্রান্ত ব্যয় প্রতিষ্ঠানকে বহন করতে হয়। সেক্ষেত্রে আর্থিক ব্যয় সংস্থানের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আগের প্রচলিত বিধি অনুসারে মূল্যায়ন ফি গ্রহণ করতে কোনো বাধা নেই।
সুতরাং আসন্ন সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মূল্যায়ন ফি গ্রহণ করতে পারবে কিনা, তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়ার প্রয়োজন। এ সংক্রান্ত পরবর্তী সিদ্ধান্তসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঠানোর জন্য জানানো হলো।
এ ব্যাপারে চিঠিতে স্বাক্ষর করা মাদরাসা অধিদপ্তরের পরিদর্শক (সহকারী অধ্যাপক) মোহম্মদ হোসাইন বলেন, আমরা এনসিটিবির নির্দেশনা পৃষ্ঠাঙ্কন করে আমাদের ওয়েবসাইটে দিয়েছি। এই চিঠি দাখিল পর্যায়ের মাদরাসার অধ্যক্ষদেরকে পাঠানো হয়েছে।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ষান্নাসিক মূল্যায়নের ব্যয় বহন করার নির্দেশনা কি-না প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ, ওখানে দেখেন এনসিটিবি বিস্তারিত দিয়েছে, বিষয়টা আপনি পড়ে যেটা মনে করবেন ঠিক ওটাই অর্থ এই চিঠির।
আগের প্রচলিত বিধি অনুসারে মূল্যায়ন ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহণ করতে কোনো বাধা নেই- এনসিটিবির চিঠিতে এমনটা লেখা রয়েছে জানালে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, দেখেন হ্যাঁ ভালো করে পড়েন।