শেকৃবি শিক্ষার্থীদের স্লোগান ‘তুমি কে আমি কে? আদুভাই আদুভাই’

Image

ক্লাস শুরুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘তুমি কে? আমি কে? আদুভাই আদুভাই’, ‘কী চাই, কী চাই, ক্লাস চাই, ক্লাস চাই’ স্লোগান দেন।

বুধবার (২৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ক্লাস শুরুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র-পরামর্শকসহ বিভিন্ন হলের প্রভোস্টরা। এতে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। প্রায় দুই মাস ধরে শিক্ষার্থীরা একাডেমি কার্যক্রমের বাইরে। ফলে দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কা রয়েছে।

আরো পড়ুন: দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিষয়-গ্রুপ পরিবর্তনের সুযোগ

এ বিষয়ে কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বলেন, এর আগেও আমরা স্যারদের সঙ্গে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে কথা বলেছি। কিন্তু ক্লাস শুরুর আশ্বাস দিলেও এখনো শুরু হয়নি। ডিনকে বললে ডিন বলেন চেয়ারম্যান কথা শোনেন না, আবার চেয়ারম্যান বলেন স্যাররা কথা শোনেন না। এজন্য আজ আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। আমরা আজকের মধ্যেই ক্লাস শুরুর নোটিশ দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছি। দাবি মানা না হলে আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

শেকৃবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মো. তৌহিদুল ইসলাম আশিক বলেন, করোনাকালীন লকডাউন, কোটা আন্দোলনসহ দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভয়াবহ সেশনজটের মধ্যে রয়েছে। একই সেশনে ভর্তি হওয়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেখানে গ্রাজুয়েশন শেষ করেছেন, সেখানে একই সেশনের আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে রয়েছেন। আমরা এই সেশনজট নির্মূল করার জন্য দ্রুত ক্লাস পরীক্ষা শুরু করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আজ শিক্ষার্থীরা গণ-জমায়েতের মাধ্যমে শিক্ষকসহ কর্মকর্তাদের দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদের এই দাবির বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে কিংবা দ্রুত বাস্তবায়নে অনাগ্রহী হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যেন দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা যায়। এখন যারা সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের অধিকাংশ পদ ফাঁকা থাকায় সম্ভব হচ্ছে না। গতকালও আমি মন্ত্রণালয়ে গিয়েছি দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এবং তাদেরকে অবহিত করার জন্য। আশা করছি দ্রুত ভালো কিছু হবে।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।