ঢাকা: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিসিএস শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে শিগগিরই বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি বৈঠকে বসছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
চলতি মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণভাবে বন্ধের হুমকির দেয়ার পর দিনই মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে বসার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন বেতন কাঠামোতে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহালসহ বিভিন্ন দাবিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করছেন শিক্ষক সমিতিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি সোমবার শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া নিয়ে অর্থসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তাকে ইতিবাচক মনে হয়েছে। বেতন বৈষম্য নিরসন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক আয়োজনের বিষয়ে তাকে বলেছি। তিনি সম্মত হয়েছেন। দু’একদিনের মধ্যেই তিনি আমাদের বৈঠকের সময় জানাবেন। এরমধ্যে আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব।’
‘কমিটি সভায় বসলে হয়তো আমরা একটা সমাধানে আসতে পারব। কারণ কমিটিতেই সব দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। প্রয়োজনে কমিটি শিক্ষকদের সঙ্গেও কথা বলবে। তবে সবার আগে মন্ত্রিসভা কমিটিকে সভায় বসতে হবে,’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী তো ইতোমধ্যে শিক্ষকদের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন- এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কথার ধারাবাহিকতায় হয়তো তিনি সেটা বলেছিলেন। অর্থসচিব তো অর্থমন্ত্রীরই প্রতিনিধি। অর্থসচিব আমাকে বলেছেন সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে গেছে এমনটা নয়। আমাদের সঙ্গে সঙ্গে তারাও সমস্যার সমাধান চান।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘শিক্ষকদের একটা অংশ গ্রেড-১ এ যাতে যেতে পারে সে পথ করতে হবে। অর্থসচিবকে এটা বলেছি, তিনি এটা ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। আমরা শিক্ষা পরিবারের সদস্য হিসেবে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, তাদের মর্যাদা, সন্তুষ্টি দেখা আমাদের দায়িত্ব। এটা আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে দেখব।’
‘শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়ার কথা বলেছেন। এ অবস্থা যদি চলতে থাকে তবে পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে যাবে। এ জন্য আমি অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সবার সঙ্গে কথা বলছি।’
এর আগে গত ১ নভেম্বর বেতন বৈষম্য দূরীকরণ কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান ও অর্থমন্ত্রী আবদুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছিলেন, নতুন বেতন কাঠামোতে কারো সুযোগ কমবে না। যদি আরো ভাল কিছু করা যায় সেটা করাই আমাদের উদ্দেশ্যে।
টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করে গত ১৫ ডিসেম্বর নতুন বেতন কাঠামোর আদেশ জারি করে সরকার।
বেতন কাঠামোর গেজেটে দাবি-দাওয়া প্রতিফলিত হয়নি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা জানান, নতুন কাঠামোতে তাদের বেতন কয়েক ধাপ নিচে নেমে গেছে। এটা তাদের জন্য মর্যাদাহানিকর।