বরগুনা প্রতিনিধি, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: বরগুনার বামনা উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) ও একজন সহকারী শিক্ষিকাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে এলাকাবাসী।
অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম সুজেলন্দ শীল (৪২)। তিনি বামনা উপজেলার ছোট ভাইজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আরো পড়ুন: সবিতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে ভয়ে ছিলেন অনিল
জানা যায়, গত সোমবার বিকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করা হয়। পরে শিক্ষিকা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষককে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
ওই দিন রাত সাড়ে ১১টায় বামনা থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল অভিযুক্ত শিক্ষককে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ওই এলাকার জাহাঙ্গীর চৌকিদারের এর ছেলে আল আমিন ও স্থানীয় দোকানি হাকিম এবং মিরাজের ছেলে মেহেদী বলেন, আমরা বিদ্যালয়ের মাঠে এসে দেখতে পাই বিদ্যালয়ের নিচের গেটে তালা দেয়া এবং দোতলায় লোকজন আছে বলে টের পাওয়া যায়। পরে আমরা রেলিং বেয়ে দোতলায় উঠে প্রধান শিক্ষকের রুমের জানালার ফাঁক দিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে দেখতে পাই। পরে প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে দোতলায় উঠেছি কেন তা জানতে চায় এবং হুমকি দেয়।
তারা আরও জানায়, প্রধান শিক্ষকের সাথে তারা কথা বলার ফাঁকে ওই শিক্ষিকা পালিয়ে যায়। প্রধান শিক্ষকের সাথে বাকবিতণ্ডার মধ্যে এলাকার লোকজন জড়ো হয় এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবু সালেহ পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষক সুজেলেন্দ শীলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকাবাসী আরও জানান, প্রায়ই স্কুল ছুটির পরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুজেলন্দ শীল বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে বামনা থানায় নিয়ে আসে। রাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ থানায় আসেন। শিক্ষা কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নির্মল চন্দ্র শীল বলেন, আমরা শিক্ষকদের কাছ থেকে এ ধরনের আপত্তিকর ঘটনা প্রত্যাশা করি না। আমি রাতে শুনে থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। আমি সরেজমিনে তদন্ত করে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করবো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পবিত্রতা বজায় রাখতে এখানে কোনো পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই। সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি এবং শিক্ষা অফিসারকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।