শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রধান প্রকৌশলীর মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গণপূর্ত, এলজিইডির পর এবার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেওয়ান মো. হানজালার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল-জামুকায় অভিযোগ জমা পড়েছে।
জানা যায়, দেওয়ান মো. হানজালা ১৯৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন। সরকারি বিধান অনুযায়ী চাকরির মেয়াদ ৫৯ বছর পূর্ণ হলে অবসর না নিয়ে পিআরএল-এ যাওয়ার কথা। ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট তার চাকরির মেয়াদ ৫৯ বছর পূর্ণ হয়। কিন্তু তিনি অবসরে না যেয়ে চাকরিতে প্রবেশের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা না দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন মহলকে ম্যানেজ করে সাময়িক সনদপত্র দিয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর পদে বর্ধিত সময়ের জন্য বহাল তবিয়তে আছেন। এছাড়া তার অধস্তন পদ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদে দীর্ঘদিন ধরে কোনো পদায়ন করা হচ্ছে না। তিনি নিজেই এ পদটিও আকড়ে আছেন। এছাড়া কোন সহকারি প্রকৌশলীর পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে না।
অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া বিল ভাউচারে কোটি কোটি টাকা লোপাটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। কেবলমাত্র খাতা কলমে প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে তুলে নেয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। দু’দশকের মাধ্যমে গত ১ বছরের ফাইলপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে সাগর চুরির মত ঘটনা ধরা পড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার বেশ কিছু প্রকল্পে অতি গোপনে তাদেরকে ৭/৮ কোটি টাকার কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ না করেই বিল তুলে নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ওই সময় শিক্ষা ভবনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সূত্র দাবি করছে, মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে টাকা তুলে নিযেছেন প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে একটি সিন্ডকেট। রামপুরা বনশ্রীর আইডিয়ালের সাড়ে ৩ কোটি টাকার কাজ একইভাবে আতিক নামের এক ঠিকাদারকে পাইয়ে দিয়ে কাজ না করেই বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা করছেন।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।