জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযোগ প্রত্যাক্ষান
নিজস্ব প্রতিবেদক,১৬ এপ্রিল:
অনিয়মতান্ত্রিক বদলি বাণিজ্যের শিকারসহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি কর্মকান্ডের অভিযোগ তুলেছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সহকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (১২০৬৮) এর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসে শিক্ষা কর্মকর্তাদের অনিয়ম তুলে ধরেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
এসময় ওই সমিতির নেতৃবৃন্দসহ সদর উপজেলার প্রায় ২০-২৫ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত অর্ধশতাধিক সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।
এতে সহকারি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতা কামনা করে বক্তব্য দেন সজীব হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মো. নূরনবী, আলতাফ হোসেন,আমির হোসেন প্রমুখ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
এসময় তারা অভিযোগ করে জানান, বদলিতে অবৈধ অর্থ আদায়ের বাণিজ্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনিয়মতান্ত্রিক বদলির নির্দেশ প্রদান করে কর্মকর্তারা নিরীহ শিক্ষকদের হয়রানি করে চলছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ছুতোয় অভ্যন্তরীন কর্মকান্ডে অমূলকভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করে চলছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তারা।
একপর্যায়ে শিক্ষকরা অসহায়ত্ব প্রকাশ করে জানান, শিক্ষকতার চাকরী করে তারা যে বেতন পান তা সীমিত এবং সম্পূর্ণ বৈধ উপার্জন। এই উপার্জন দিয়ে কোনমতে নিজেদের সংসার চালিয়ে যেতে হিমশিম খেতে হয়। তার উপর হয়রানি এড়াতে অন্যায়ভাবে বাণিজ্যের শিকার হলে টানাপোড়নে ভুগতে হয় তাদের।
এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এর হস্তক্ষেপসহ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কামনা করেন শিক্ষকরা।
পরে নবনির্বাচিত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ.কে.এম.সালাহ্ উদ্দিন টিপু উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্য করে জানান, উদ্দেশ্যমূলক কিংবা অনিয়মতান্ত্রিক কোন প্রকার হয়রানি হলে তা অবশ্যই নিন্দনীয়।
একই সাথে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যথার্থ হলে তিনি শিক্ষকদের কল্যাণে যথাসাধ্য সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আলো এসব বিষয়ে জানান, শিক্ষকদের এসব হয়রানি ব্যাপক জনশ্রুতি রয়েছে। তবে কোন শিক্ষক এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষ অদ্যাবধি কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। যার কারণে কোন পদক্ষেপই নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু ছালেহ মোহাম্মদ শিক্ষক-শিক্ষিকার এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানান, এ সংক্রান্ত কোন প্রমাণপত্র কখনোই কেউ দেখাতে পারবেনা।