নিজস্ব প্রতিবেদক,২৯ মার্চ:
আগামী ৩০ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে না পারার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু দেশে হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়াতে এখন আর খোলা হচ্ছে না।
রোববার (২৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরো এক দফায় বাড়িয়ে ২৩ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় স্কুল-কলেজ ঠিক এখন না খুলে আসন্ন রোজার ঈদের পরেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। ইতিমধ্যে স্কুল-কলেজ এবং বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরানো হলগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে এসব কাজ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এসব কাজ আগামীতেও চলতে থাকবে।
সরকারপ্রধান বলেন, করোনার টিকা দেয়া অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যাতে মাস্ক ছাড়া বাইরে না যায়। নিরাপদ দূরত্ব মেনে বসতে হবে। সভা-সেমিনার-কর্মশালা স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে করতে হবে। যতদূর সম্ভব খোলা জায়গায় কর্মসূচি করতে হবে। ঘরের মধ্যে করলে করোনার প্রাদুর্ভাব আরো বেশি দেখা দেয়।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডয়াম সদস্য আবদুর রাজ্জাক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ প্রমুখ।