চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষকদের দুটি বাসে ভাঙচুর ও ককটেল বোমা হামলা চালিয়েছে ছাত্রশিবির। এতে শিক্ষকসহ ১২ জন আহত হন। হামলার পর সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পাঁচ শিবিরকর্মী আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ ছড়ারকুলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকরা হলেন ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবরিনা আলম, প্রাণরসায়ণ ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সোনম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরীন আরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, মার্কেটিং স্টাডিজ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, পালি বিভাগের সুদীপ্ত বড়ুয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. আশরাফুজ্জামান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও বাংলাবিভাগের আনোয়ার সাঈদ। এ হামলার জন্য শিক্ষকরা শিবিরকেই দায়ী করেছেন। এছাড়া হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অমৃতনাথ, চালক মাহবুব ও আরিফও আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত শিক্ষকদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহিদুল গণি দুপুর একটার দিকে জানান, আহতদের মধ্যে সকলেই আশঙ্কামুক্ত। তাদের মধ্যে একজন চিকিত্সা নিয়ে চলে গেছেন। বাকি ১১ জনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার সকালে শিক্ষক বহনকারী বাসটি চট্টগ্রাম নগরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই সেখানে ওঁত্ পেতে থাকা শিবিরকর্মীরা বাসের সামনে অবরোধ সৃষ্টি করে ভাঙচুর চালায়।
এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শিবির কর্মীরা কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাংলাবিভাগের আনোয়ার সাঈদ জানান, শিক্ষক বহনকারী বাসটি ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার দু’পাশ থেকে ১৫-২০ জন শিবিরকর্মী এলোপাতাড়ি ইটপাথর ছুড়তে থাকে। এরপর তারা লাঠিসোটা নিয়ে বাসে হামলা চালায়। ৫-৬টি ককটেলও ছোড়ে তারা। এ সময় পাথর ও গাড়ির ভাঙা কাচের আঘাতে শিক্ষকরা আহত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদ হাসান জানান, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাসে করে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে বাসগুলো ছড়ারকুলের আগে বালির টাল এলাকায় পৌঁছালে ছয়-সাতজন যুবক হঠাত্ বাসের সামনে এসে ঢিল ও ককটেল ছোড়া শুরু করে। চালক দ্রুত চালিয়ে সেখান থেকে সরে এলেও বাসের সামনের সারিতে থাকা শিক্ষকরা আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ-উদ-দৌলাহ বলেন, আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিত্সাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, শিবিরকর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
হামলার শিকার বাসে থাকা ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘পর পর দুটি বাস যাচ্ছিল। আমরা যে বাসে ছিলাম সেই বাসটিতে ককটেল এবং অপর বাসটিতে ইট-পাথর নিক্ষেপ করা হয়।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, সকাল সাড়ে নয়টার বাসে তিনি ক্যাম্পাসে পৌঁছার পরপরই শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার খবর পান। এ সময় তিনি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অপর শিক্ষক বখতেয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আহতদের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ বলেন, আহত শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, চবির হলে বৈধ ছাত্রদের অবস্থানের দাবিতে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ধর্মঘট চলছে। এ সময় কয়েকবার বিশ্ববিদ্যায়ের শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাসে ককটেল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
এদিকে শিক্ষকদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি: শিক্ষক বাসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্যাম্পাসে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৃথকভাবে মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও বাম সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল, প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও ছাত্রলীগ।
হলুদ দলের শিক্ষকরা হামলার পরপরই ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
সিন্ডিকেট ঠেকাতেই হামলা: বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভা ঠেকাতেই শিক্ষকবাসে হামলার ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
তারা বলছেন, এর আগে একাধিকবার শিক্ষক বাসে হামলা করা হলেও ওইসময় কোনো শিক্ষক বাসে ছিল না। মূলত, শিক্ষকদের আনতে যাওয়ার সময় এ হামলা হতো। কিন্তু গতকাল বুধবার নির্ধারিত সিন্ডিকেট যাতে হতে না পারে সেজন্য পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে শিক্ষক বাসে এ হামলা করা হয়েছে।
পাঁচ শিবিরকর্মী আটক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসে হামলার ঘটনায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পাঁচ শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ ও ছড়ারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক শিবির কর্মীদের তাত্ক্ষণিক পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষক বাসে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ ছড়ারকুলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষকরা হলেন ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিকস ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবরিনা আলম, প্রাণরসায়ণ ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সোনম, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিরীন আরা চৌধুরী, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, মার্কেটিং স্টাডিজ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তৈয়ব চৌধুরী, পালি বিভাগের সুদীপ্ত বড়ুয়া, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো. আশরাফুজ্জামান, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও বাংলাবিভাগের আনোয়ার সাঈদ। এ হামলার জন্য শিক্ষকরা শিবিরকেই দায়ী করেছেন। এছাড়া হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অমৃতনাথ, চালক মাহবুব ও আরিফও আহত হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আহত শিক্ষকদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহিদুল গণি দুপুর একটার দিকে জানান, আহতদের মধ্যে সকলেই আশঙ্কামুক্ত। তাদের মধ্যে একজন চিকিত্সা নিয়ে চলে গেছেন। বাকি ১১ জনকে হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বুধবার সকালে শিক্ষক বহনকারী বাসটি চট্টগ্রাম নগরী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই সেখানে ওঁত্ পেতে থাকা শিবিরকর্মীরা বাসের সামনে অবরোধ সৃষ্টি করে ভাঙচুর চালায়।
এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে শিবির কর্মীরা কয়েকটি ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে বাংলাবিভাগের আনোয়ার সাঈদ জানান, শিক্ষক বহনকারী বাসটি ছড়ারকুল এলাকায় পৌঁছালে রাস্তার দু’পাশ থেকে ১৫-২০ জন শিবিরকর্মী এলোপাতাড়ি ইটপাথর ছুড়তে থাকে। এরপর তারা লাঠিসোটা নিয়ে বাসে হামলা চালায়। ৫-৬টি ককটেলও ছোড়ে তারা। এ সময় পাথর ও গাড়ির ভাঙা কাচের আঘাতে শিক্ষকরা আহত হন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদ হাসান জানান, শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাসে করে শিক্ষকরা ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে বাসগুলো ছড়ারকুলের আগে বালির টাল এলাকায় পৌঁছালে ছয়-সাতজন যুবক হঠাত্ বাসের সামনে এসে ঢিল ও ককটেল ছোড়া শুরু করে। চালক দ্রুত চালিয়ে সেখান থেকে সরে এলেও বাসের সামনের সারিতে থাকা শিক্ষকরা আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ-উদ-দৌলাহ বলেন, আহত শিক্ষকদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিত্সাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ জানান, শিবিরকর্মীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
হামলার শিকার বাসে থাকা ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক কামরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘পর পর দুটি বাস যাচ্ছিল। আমরা যে বাসে ছিলাম সেই বাসটিতে ককটেল এবং অপর বাসটিতে ইট-পাথর নিক্ষেপ করা হয়।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, সকাল সাড়ে নয়টার বাসে তিনি ক্যাম্পাসে পৌঁছার পরপরই শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনার খবর পান। এ সময় তিনি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অপর শিক্ষক বখতেয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আহতদের প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সিরাজ-উদ-দৌল্লাহ বলেন, আহত শিক্ষকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য, চবির হলে বৈধ ছাত্রদের অবস্থানের দাবিতে ১০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ধর্মঘট চলছে। এ সময় কয়েকবার বিশ্ববিদ্যায়ের শাটল ট্রেন ও শিক্ষক বাসে ককটেল হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
এদিকে শিক্ষকদের ওপর বর্বর হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে মিছিল করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ছাত্রলীগ ও প্রগতিশীল ছাত্রজোট। এছাড়া এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।
শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি: শিক্ষক বাসে হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ক্যাম্পাসে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পৃথকভাবে মিছিল-সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ ও বাম সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল, প্রগতিশীল ছাত্রজোট ও ছাত্রলীগ।
হলুদ দলের শিক্ষকরা হামলার পরপরই ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
সিন্ডিকেট ঠেকাতেই হামলা: বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভা ঠেকাতেই শিক্ষকবাসে হামলার ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।
তারা বলছেন, এর আগে একাধিকবার শিক্ষক বাসে হামলা করা হলেও ওইসময় কোনো শিক্ষক বাসে ছিল না। মূলত, শিক্ষকদের আনতে যাওয়ার সময় এ হামলা হতো। কিন্তু গতকাল বুধবার নির্ধারিত সিন্ডিকেট যাতে হতে না পারে সেজন্য পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে শিক্ষক বাসে এ হামলা করা হয়েছে।
পাঁচ শিবিরকর্মী আটক: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসে হামলার ঘটনায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পাঁচ শিবিরকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ ও ছড়ারকুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক শিবির কর্মীদের তাত্ক্ষণিক পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষক বাসে হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।’