ডেস্ক,১০ ফেব্রুয়ারী: প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ করা হয়েছে। ৪১ ও ৪২তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়ার পর জুন-জুলাই মাসে প্রাথমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এ দুটি বিসিএস পরীক্ষায় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) যেসব কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করবে সেগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আসন নির্ধারণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
তবে এরমধ্যে যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয় তবে পরীক্ষা হল ও আসনের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় রীতিমত মহাযজ্ঞ হয়। এতো বেশি পরীক্ষার্থী থাকে যাদের ব্যবস্থাপনা নিয়ে হিমশিম খেতে হয়। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খোলা পর্যন্ত এ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না। তবে বিসিএস পরীক্ষাগুলো হলে আমরা ধীরে ধীরে পরীক্ষা নেওয়া প্রস্তুতি শুরু করব।
বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুরুল আলম বলেন, পরীক্ষা নেওয়ার সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলামাত্রই পরীক্ষা নিতে পারব। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যদি দেরি হয় তবে বিসিএস পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করব। তারা যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার আয়োজন করবে সেখানে ধাপে ধাপে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষার আসন নির্বাচন করা হবে। এক্ষেত্রে জুন-জুলাইয়ে আমরা পরীক্ষার প্রথম ধাপ শুরু করতে করতে পারব।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ করা হয়েছে। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষা আয়োজনে নিয়োগ পরিচালনা কমিটি একাধিক সভা করে সব প্রস্তুতিমূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু পরীক্ষা শুরুর অপেক্ষা।
এবার প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবে ২৫ হাজার ৬৩০ জন। এই নিয়োগে ১৩ লাখ পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়। অনলাইন আবেদন করতে গিয়ে নানা ধরনের ভুল সংশোধন করার সুযোগ দেয় ডিপিই।