ডেস্ক,১০ নভেম্বর ২০২২: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাড় থাকছে। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক হতে নিবন্ধিত প্রার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে তাদের বয়স ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ২৫ মার্চের মধ্যে পঁয়ত্রিশ হতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে এ ছাড় দেয়া হচ্ছে। তবে, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ২৫ মার্চের আগে যেসব প্রার্থীর বয়স পঁয়ত্রিশ বছরের বেশি হয়ে গেছে তারা শিক্ষক হতে আবেদনের সুযোগ পাবেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. ওবাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, যেসব প্রার্থীর বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে তাদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক হতে নিবন্ধিত প্রার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে তাদের বয়স ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ২৫ মার্চের মধ্যে পঁয়ত্রিশ হতে হবে। এ তারিখের পর যাদের বয়স পঁয়ত্রিশ বছরে বেশি হয়ে গেছে তারা শিক্ষক হতে আবেদনের সুযোগ পাবেন না।
তিনি আরও বলেন, পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব নিবন্ধিত প্রার্থীরা আর শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব প্রার্থীরা শিক্ষক হওয়ার আবেদনের সুযোগ পেয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়েও তাদের সে সুযোগ বহাল রাখা হয়েছিলো। কিন্তু সে রায়ের রিভিউয়ে বিধি-বিধান অনুযায়ী শিক্ষক পদে নিয়োগের নির্দেশনা এসেছে।
জানা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসেই বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরিকল্পনা করেছে এনটিআরসিএ। ইতোমধ্যে চতুর্থ ধাপে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭৪ হাজারে বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে সেগুলো যাচাই বাছাই করতে অধিদপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। শূন্যপদের তথ্য দুই অধিদপ্তর থেকে যাচাই হয়ে এসেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শিগগিরই স্কুল-কলেজের শূন্যপদের তথ্য যাচাই হয়ে চলে আসবে বলে আশা করছেন কর্মকর্তারা।