বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে যাচ্ছে সরকার। আগামী জুলাই মাস থেকে শিক্ষকদের পেনশন স্কিমের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষকদের অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্ট্রের কার্যক্রম বাতিল হয়ে যাবে।
সারাদেশে প্রায় ৩০ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাড়ে ৫ লাখের বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। অবসরের পর পেনশন সুবিধা পান না তারা। পুরো চাকরি জীবনে অবসর ও কল্যাণ ফান্ডে বেতন থেকে ১০ শতাংশ। এর মধ্যে অবসর বোর্ড কাটে ৬ শতাংশ ও কল্যাণ ট্রাস্ট কাটে ৪ শতাংশ। অবসরের পর সেই টাকা তুলতে গিয়ে নানা হয়রানিতে পড়তে হয় শিক্ষক-কর্মচারীদের। বিষয়টি সমাধান করতে শিক্ষকদের পেনশন স্কিমের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এটি চালু হলে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টের কার্যক্রম বাতিল হবে।
আরো পড়ুন: যে মাস থেকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসছেন এমপিওভুক্তরা
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কল্যাণ ট্রাস্টে এক বছরে গড়ে আবেদন পড়ে ১৬ হাজার ৮০০ থেকে ১৭ হাজার, যা নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ৭২০ কোটি টাকা। আর অবসর সুবিধা বোর্ডে বছরে ১০ হাজার ৮০০টি আবেদন পড়ে। এসব আবেদন নিষ্পন্ন করতে প্রয়োজন ১,৩২০ কোটি টাকা। দুই খাতে প্রতিবছর ৫৭০ কোটি টাকা ঘাটতি থাকে। দুই বোর্ডে প্রায় ৬৭ হাজার পেন্ডিং আবেদন নিষ্পত্তি করতে ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন।
তহবিল সঙ্কটের কারণে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অবসর নেওয়ার পর তিন-চার বছর পরও প্রাপ্য আর্থিক সুবিধা পান না। এমন প্রেক্ষাপটে গত ২২ ফেব্রুয়ারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক ও অবসর সুবিধা অবসরের ছয় মাসের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে সংসদীয় কমিটির সুপারিশের আলোকে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে যেসব কর্মপরিধি দেওয়া হয়েছে সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হবে। আমরা চেষ্টা করবো দ্রুত সময়ের প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেওয়ার।