চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হতে আরও দুই সপ্তাহ লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ রবিবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান। এসময় প্রতিমন্ত্রী গরমের মধ্যে লোডশেডিং দেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
আরোপড়ুন: লোডশেডিং কতদিন থাকবে—জানালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
নসরুল হামিদ বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা দুই মাস আগে থেকে চেষ্টা করেছি। কিন্তু সার্বিকভাবে আমাদের অনেক কিছুই দেখতে হয়। অর্থনৈতিক একটা বিষয় আছে। তেল ও গ্যাসের যোগানের বিষয় আছে।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তাপমাত্রা যেহেতু ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে গেছে সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে গেছে। পাওয়ার প্লান্টে যে পরিমাণ মজুত ছিল সেটা দিয়েও আমরা নিরবচ্ছিন্ন সেবা দিতে প্রস্তুত ছিলাম। এই মুহূর্তে আমরা শিডিউল লোডশেডিংয়ে যাচ্ছি না। তবে কিছু কিছু এলাকায় লোডশেডিং হবে।
এদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করেই রাজধানীসহ সারাদেশে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি শিল্পকারখানায় উৎপাদনের ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
দেশের উত্তরাঞ্চল রাজশাহী, রংপুরসহ কয়েকটি জেলায় ছয় থেকে আট ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে প্রতিদিন তিন ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে।
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট। ঘাটতি থাকছে এক হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার মেগাওয়াট। এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার এক মেগাওয়াট।