লক্ষণ, রোগ নির্ণয় ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে করণীয়

আমাদের সময় ডেস্ক,১১ এপ্রিল:
কোভিড-১৯ ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ, চিকিৎসকবৃন্দ আক্রান্ত মানুষকে চিকিৎসা দিয়ে, প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে! কোভিড-১৯ টিকা আবিষ্কারের জন্য বেশ কিছু প্রচেষ্টা চলছে। করোনাভাইরাসের মতো ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধ গাইড লাইন মেনেই করতে হয়।

[৩] ভাইরাসটির সংক্রমণ ও লক্ষণ প্রকাশের অন্তর্বর্তী কাল মোটামুটি ১-১৪ দিনের, রোগের উপসর্গ দেখা যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

লক্ষণ :
• এই ভাইরাসে আক্রান্তদের আপাতভাবে সুস্থ মনে হতে পারে।
• ফ্লু-এর মতো উপসর্গ : জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি ইত্যাদি।
• কিছু ক্ষেত্রে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা ইত্যাদি।
• মাথা ব্যথা, মাংসপেশিতে বা মাংসপেশির সংযোগে ব্যথা ইত্যাদি।
• গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল উপসর্গ যেমন বমি-বমিভাব, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদিও হতে পারে।
[১] রাজকীয় নিয়ম ভেঙে মেগানকে আলিঙ্গন করায় হ্যারির কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখেছে স্কুল ছাত্র ≣ বিচারকদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদন করা নিরর্থক, বললেন জাফরুল্লাহ ≣ কুরআন ছুঁয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ প্রধানের শপথ (ভিডিও)

[৪] রোগ নির্ণয়ের পদ্ধতি:
• RT-PCR পরীক্ষা। রিভার্স ট্রান্সক্রিপ্টেজ-পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন পদ্ধতি ।
• রোগীদের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা গেছে এই ভাইরাসের কারণে তাদের শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা হ্রাস পায় ।
• ইমিউনিঅ্যাসে-সেরোলজি পরীক্ষায় এলিসা অ্যান্টিবডি পরীক্ষণ-সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, যেন হোস্ট দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তা শনাক্ত করে রোগ নির্ণয় করা যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে IgM ও IgG অ্যান্টিবডির উপস্থিতি জানা যাবে ও ১৫ মিনিটের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে।
• সিটি স্ক্যান-বুকের সিটি স্ক্যান ফুসফুসের প্যাথোলজি শনাক্ত ও একে শ্রেণিবিন্যস্ত করতে সহায়তা করে এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণের কিছু দিক চিহ্নিত করতে পারে। ফুসফুসের দু পাশের কয়েকটি অংশে কাচের মতো স্বচ্ছ সাদা অংশ দেখা যায়, যা চারদিকে (peripheral) অথবা পেছনে বিন্যস্ত থাকে।

[৫] কোভিড-১৯ প্রতিরোধে করণীয়:
১. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মানতে হবে। করোনাভাইরাস কোনো লক্ষণ-উপসর্গ ছাড়াই দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যেকোনো ব্যক্তির দেহে তার অজান্তেই বিদ্যমান থাকতে পারে। করোনাভাইরাস বহনকারী ব্যক্তি যদি কোনো কারণে হাঁচি বা কাশি দেন, তাহলে তার আশপাশের বাতাসে ৩ থেকে ৬ ফুট দূরত্বের মধ্যে করোনাভাইরাসবাহী জলীয় কণা (ড্রপলেট) বাতাসে ভাসতে শুরু করে এবং ওই পরিধির মধ্যে থাকা যেকোনো ব্যক্তির দেহে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভাইরাসটি প্রবেশ করতে পারে। এ কারণে জনসমাগম বেশি—এমন এলাকা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে, যাতে বাতাসে ভাসমান সম্ভাব্য করোনাভাইরাস কণা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ না করতে পারে।

২. কারও সঙ্গে করমর্দন করা (হাত মেলানো) বা কোলাকুলি করা বা ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এলে এটি ছড়াতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

৩. নাক, মুখ ও চোখ হাত দিয়ে স্পর্শ না করা। কারণ, করোনাভাইরাস কেবলমাত্র নাক, মুখ ও চোখের উন্মুক্ত শ্লেষ্মা ঝিল্লি দিয়ে দেহে প্রবেশ করতে পারে।

৪. মানুষ হাত দিয়ে স্পর্শ করে, যেমন দরজার হাতল, কম্পিউটারের কিবোর্ড ও মনিটরের পর্দা, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো বহুল ব্যবহৃত আসবাব ইত্যাদি নিয়মিতভাবে কিছু সময় পরপর জীবাণু নিরোধক স্প্রে বা দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

৫. নিয়মিত কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবানের ফেনা তুলে ভালো করে হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করা।

৬. পরিবেশ পরিষ্কার করে করোনাভাইরাস মুক্তকরণ—যেমন রাস্তায় ও যত্রতত্র থুতু ফেলা যাবে না। কারণ, থুতু থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে।

৭. পরিচিত কারও করোনাভাইরাসের লক্ষণ-উপসর্গ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা জরুরি ফোনে যোগাযোগ করতে হবে, যাতে তাকে দ্রুত পরীক্ষা করা যায় এবং প্রয়োজনে সঙ্গনিরোধ (কোয়ারেন্টিন) করে রাখা যায়।

৮. হাসপাতালে ও অন্য কোনো স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্যই বিশেষ চিকিৎসা মুখোশ ও হাতমোজা পরিধান করতে হবে, যাতে ভাইরাস এক রোগী থেকে আরেক রোগীতে না ছড়ায় এবং চিকিৎসাকর্মী নিজে সংক্রমিত না হন ।
Zeba Dona ফেসবুক থেকে

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।