রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বারের মতো (সেকেন্ড টাইম) ভর্তিচ্ছুদের বসার সুযোগ দিতে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গত (৩ নভেম্বর) ২০২৩ ব্যাচের এইচএসসি উত্তীর্ণরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এই স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার সময় অনেকেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং এই প্রতিবন্ধকতার দরুণ সুষ্ঠু প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয় এবং অনেকে পরীক্ষার হলেই বসতে পারে না; বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সব শিক্ষার্থী অংশ নেন। পর্যাপ্ত অর্থাভাবের কারণে গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা ভালো প্রস্তুতি (কোচিং ও টিউশন ফ্রি) নিতে ব্যর্থ হয়। তার সাথে পারিবারিক স্থিতিশীলতা যোগ করে নতুন মাত্রা।
বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ডসহ আরও খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে একাধিকবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে। এশিয়ার সবচেয়ে কঠিন ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা হলো চীনের গাওকাও পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থী যতবার ইচ্ছা ততবার অংশগ্রহণ করতে পারে। আইআইটি ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ তিনবার অংশগ্রহণ করা যায়।
কিন্তু রুয়েট, চুয়েট, কুয়েটে একাধিকবার সুযোগ দেওয়া সত্ত্বেও বিশ্বদরবারে ঐতিহ্য ও সমৃদ্ধিও সহিত দণ্ডায়মান। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় সিকেরুয়েটে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুয়োগ প্রদান করলে ঐতিহ্য ওমান নষ্টের কোনো প্রশ্ন উঠে না। এমনকি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার মতো স্বনামধন্য পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণ করার সুযোগ আছে। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিলে প্রকৃত প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। যারা আসলেই যোগ্য তারা সঠিকভাবে অধ্যয়ন করলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে। ফলে প্রথমবার অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা কোনো বৈষম্যের শিকার হবে না।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘প্রথমবার অংশগ্রহণকারীদের দোহাই দিয়ে এই হতভাগ্য শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা আরও বড় বৈষম্য বলে মনে করি আমরা। এটি যদি সত্যি সত্যি প্রভাব বিস্তারকারী সমস্যা হতো তাহলে বিশ্বসেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো একাধিকবার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ প্রদান করতো না।
শিক্ষার্থীরা তীব্র বিরোধিতা করতো। দ্বিতীয়বার সুযোগ প্রদানের ক্ষেত্রে বলা হয় একই ব্যাচের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা জুনিয়র হয়ে যাবে, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানসিক জটিলতা সৃষ্টি করবে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। তাহলে উন্নত বিশ্বে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিত না ‘
প্রতিবছর প্রকৌশল গুচ্ছে ৩০ হাজার শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ২৩-২৪ হাজার শিক্ষার্থী । প্রসাশন কিছু অযৌক্তিক কারণ দেখিয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বাতিল করে দেয় ।