রাশিয়ায় প্রাণঘাতী সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যপারে চীনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে হামলা চালাতে রাশিয়াকে অস্ত্রসহায়তা দিলে চীনকে ‘কঠিন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলেও সতর্ক করেছে দেশটি। সিএনএনের ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান চীনকে এই হুঁশিয়ারি দেন। খবর রয়টার্সের।
সুলিভান বলেন, ‘চীন রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেবে কি দেবে না, সেটি তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। কিন্তু যদি এই সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্তেই চীন অটল থাকে, এর জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।’
ওয়াশিংটন এবং এর ন্যাটো মিত্ররা রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেয়া থেকে বিরত থাকতে চীনকে বারবার সতর্ক করে আসছে। বেইজিং ‘সম্ভবত ড্রোনসহ মারাত্মক সরঞ্জাম সরবরাহ করার কথা বিবেচনা করছে’ বলে আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ‘চীন রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার কথা ভাবছে।’ তবে চীন এই দাবিকে পুরোপুরি নাকচ করেছে।
এ দিকে চীনকে সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেছে। যুদ্ধ বন্ধে ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব করেছে দেশটি। গত শুক্রবার ওই প্রস্তাব করা হলেও শনিবার ভারতে জি-২০ সম্মেলনে ইউক্রেনের ওপর মস্কোর হামলার নিন্দা করতে অস্বীকৃতি জানায় বেইজিং। ফলে চীনের ভূমিকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে ইউক্রেন এবং এর পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে।
তবে চীনের শান্তি প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের সঙ্গে শান্তি প্রস্তাবের বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করতে চান। গত শনিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁও চীন সফরে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনের সহায়তা চান তিনি। এ নিয়ে আলোচনা করতে এপ্রিলের শুরুর দিকে তিনি চীন সফর করবেন।