রাবি প্রতিনিধি,৭ জানুয়ারী ২০২৩:
৭৫৩ একরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় অর্ধ লাখ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর অবস্থান। তাদের প্রায় প্রত্যেকেই ব্যবহার করেন মোবাইল ফোন। এই বিশাল সংখ্যক মোবাইল ব্যবহারীদের জন্য ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নেই কোনো মোবাইল টাওয়ার। যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক-কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিনের এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দুটি টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার স্থায়ী সমাধান হবে বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন: একাদশ শ্রেণিতে প্রথম ধাপের ভর্তি নিশ্চায়ন শেষ কাল
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখস ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মাঝে একটি ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের পাশে একটি নেটওয়ার্ক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. জাহেদ আলি বলেন, গত ৩১ আগস্ট বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সভাকক্ষে নেটওয়ার্ক সমস্যা নিরসনে দেশের প্রধান ৫ টি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সিদ্ধান্ত হয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে বিভিন্ন অপারেট কোম্পানির নেটওয়ার্ক টাওয়ার বসানো হবে। যেখানে রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, গ্রামীণ ও বাংলালিংকের ৪টি করে টাওয়ার বসানোর খসড়া প্রস্তাব দিয়েছেন কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে গ্রাহকের চাহিদা বেশি থাকায় গ্রামীনফোন অপারেটরের ২টি অতিরিক্ত টাওয়ার বসানোর জন্য কোম্পানীর পক্ষে থেকে প্রস্তাব করা হয়।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নেটওয়ার্ক সমস্যা নিরসন কমিটির প্রধান অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ক্যাম্পাসের নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধানে ৫ টি অপারেটর কোম্পানির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখস ও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মাঝে ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের পাশে মোট দুটি নেটওয়ার্ক বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই বাকি নেটওয়ার্কগুলো বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর সাথে কথা বলে জানা যায়, যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধানে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। যেসব স্থানে টাওয়ার বসালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা বেশি সুবিধা পাবে সেই স্থানগুলোকে চিহ্নিত করে তারা প্রশাসনকে জানিয়েছে। রবি, টেলিটক, গ্রামীন, বাংলালিংক এবং এয়ারটেল অপারেটর কোম্পানির ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক নেটওয়ার্ক টাওয়ার বসানো বিষয়ে প্রশাসনের কথা হয়েছে তাদের সাথে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে রবি, টেলিটক, বাংলালিংক ও গ্রামীনফোনের চারটি টাওয়ার ছিলো। ২০২০ সালের দিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের ছাদ থেকে ফোন অপারেটর কোম্পানীগুলো টাওয়ার খুলে নিয়ে যায়। তখন ভবনটির নির্মাণকাজ চলছিলো। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাম্পাসে অর্ধ লাখের কাছাকাছি জনসংখ্যার জন্য কোনো টাওয়ার নেই।