রাবি শিক্ষকের কাছে ফোনে চাঁদা দাবি

রাবি প্রতিনিধি:১রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদীর কাছে মুঠোফোনে চাঁদা দাবি করা হয়েছে। আর চাঁদা না দিলে সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে নগরীর মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি অপরিচিত রবি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি পরিচয় জানতে চাইলে সে নিজেকে বিডিআর সেলিম বলে পরিচয় দেয়। এক সময় সে তার নেতার হাতে ফোন দিয়ে আমাকে কথা বলতে বলে। সে নেতা নিজেকে ‘জলযুদ্ধ’র কমান্ডার মেজর জিয়া নামে পরিচয় দেয়।

পরে তার দলের কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে আহত হয়েছে এবং ভারতে তাদের চিকিৎসা চলছে বলে আমার কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে সেই দাবি ৫০ হাজার টাকায় নেমে আসে।

তিনি আরো বলেন, আমি যখন জিয়াকে বলি আমার পক্ষে কোনো অর্থ দেওয়া সম্ভব নয়, তখন সে আমার সন্তানের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের নিরাপত্তার জন্য রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মতিহার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।

বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে লাল বাহিনী পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বা এ ঘটনাটি পুলিশ কিংবা অন্য কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দীন বলেন, বিশ্বদ্যিালয়ে গত ছয় মাসের মধ্যে বেশ কয়েক জন শিক্ষকের কাছে ফোন করে চাঁদা দাবি ও নানা হুমকি দেওয়ার মতো উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। অনেকে হয়তো ভয়ে তাদের টাকাও দিচ্ছে। যার কারণে এটা আরো বাড়ছে। আমরা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছি।

মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তিনি থানায় পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। আর এর আগে যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে তার অধিকাংশ নাম পরিচয়হীন ফোন নম্বর থেকে হুমকি দিয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত কাউকে ধরতে পারিনি। তবে বিষয়টি আমরা ‘আইটি এক্সপার্ট’ দিয়ে খতিয়ে দেখছি।

Image Not Found

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।