ডেস্ক,১৩ অক্টোবরঃ
টানা অফফর্মের কারণে যাকে নিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা, সেই সৌম্য সরকার অবশেষে রানের দেখা পেলেন। কিন্তু দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন টাইগার দলের বাকি ব্যাটসম্যানরা।
মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, শামীম হোসেন পাটোয়ারী-ব্যাটিংয়ে কারও কাছ থেকেই ভালো একটা ইনিংস পাওয়া গেলো না। ফলে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ১৪৭ রানেই আটকে গেছে বাংলাদেশ। এরপর বোলিং নেমে লঙ্কান ব্যাটারদের আটকে রাখতে পারেননি তাসকিন-শরিফুলরা।
আরো পড়ুনঃ ২৮ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতি
এক ওভার হাতে রেখেই চার উইকেট জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের মূল উদ্দেশ্যে ক্রিকেটারদের প্রস্তুতি। লঙ্কানদের বিপক্ষে সেই প্রস্তুতি ঠিক কতটা হলো সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। তারপরও সহজেই ম্যাচ জিতেছে তারা। বাংলাদেশের বোলাররা লঙ্কান অন্য ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখতে পারলেও চার নম্বরে নামা অভিষ্কা ফার্নান্ডোকে আটকে রাখতে পারেননি। তার হাফসেঞ্চুরিতেই মূলত জয় পায় লঙ্কানরা।
মিডল অর্ডার ব্যাটার অভিষ্কা ৪২ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৬২ রানের ইনিংস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন চামিকা করুণারত্নে। তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংস। মূলত এই ঝড়েই ছত্রখান হয়ে যায় বাংলাদেশের স্লগ ওভারের বোলিং লাইনআপ। অথচ ১৫ ওভারে শ্রীলঙ্কার রান ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৫। বাকি ৪ ওভারে লঙ্কানরা কোনও উইকেট না হারিয়ে তুলে ৫৩ রান।
তাসকিন-শরিফুল কেউই কোনও প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ফলশ্রুতিতে এক ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।
এদিন বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন সৌম্য সরকার। এই স্লো মিডিয়াম পেসার ১২ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট। তাসকিন এক উইকেট নিলেও প্রথম তিন ওভারে বেশ কৃপণ বোলিং করেন। ৩ ওভারে ১৪ রান দেওয়া তাসকিন চতুর্থ ওভারে দেন ১১ রান। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলাম। শরিফুল ইসলাম সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিং করেন। ৪ ওভারে ৪১ রান দেন তিনি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েও বাংলাদেশের ব্যাটাররা সফল হতে পারেননি। সবচেয়ে সফল সৌম্য সরকার, তার ব্যাট থেকেই এসেছে ৩৪ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৭ রান।
এদিন আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্মআপ ম্যাচে ওপেনিং জুটি ক্লিক করতে পারেনি। দলীয় ৩১ রানে লিটন ব্যক্তিগত ১৬ রানে বিদায় নেন। লিটনের পর আরেক ওপেনার নাঈম শেখও ১১ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন। এরপর সৌম্য-মুশফিক মিলে বড় জুটির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওমানের বিপক্ষে ব্যর্থ মুশফিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও ফর্মহীন। ১৩ বলে ১৩ রান করে আউট হয়েছেন এই ব্যাটার। মুশফিকের বিদায়ের পর আফিফও বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি। ১১ বলে ১১ রান করে তিনিও বিদায় নেন।
এরপর লঙ্কানদের বিপক্ষে দারুণ ইনিংস খেলা সৌম্য সরকার ৩৪ রানে আউট হন। ২৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কার বিনিময়ে নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে ঝড় তোলা নুরুল হাসান সোহান ১৪ বলে ১৫ রান করে আউট হয়েছেন। শামিম হোসেনও পারেননি ঝড় তুলতে। ৮ বলে ৫ রান করে আউট হয়েছেন শামীম। শেষ দিকে মেহেদী হাসানের ১২ বলে ১৬ রান করলে বাংলাদেশের ইনিংস ১৪৭ রানে গিয়ে থামে।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দুষ্মন্থ চামিরা ২৭ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন।